একজনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার-প্রস্তুতি শেষ, মেয়র পদে উপনির্বাচন আগামীকাল

রসিংদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। গত রাত থেকেই পৌর এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। তবে সেবামূলক সংস্থা (অ্যাম্বুলেন্স), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য তা শিথিলযোগ্য।


নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা থাকলেও গতকাল সন্ধ্যায় মোছাব্বির আহমেদ (দোয়াত-কলম) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
মোছাব্বির আহমেদ মুঠোফোনে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের প্রতিবাদে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিএনপির কর্মীদের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।’
এদিকে নির্বাচনের মূল আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ও প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই কামরুজ্জামান এবং শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
তবে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধেই রয়েছে অভিযোগ। মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলা। কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। অন্য প্রার্থীদেরও রয়েছে স্বচ্ছ ইমেজ ও গ্রহণযোগ্যতার সংকট।
দুই প্রার্থীই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক’ উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে দাবি করেছেন।
গতকাল শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নানা পেশার মানুষ, ভোটার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ মানুষ শহরে সন্ত্রাস ও মাদকের ভয়াবহতার জন্য উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। অভিযোগ থাকলেও কামরুজ্জামান ও মোন্তাজের দিকেই ঝুঁকছেন ভোটাররা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, অন্য প্রার্থীরা ভোটারদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।
শহরের উপজেলা মোড় এলাকার বাসিন্দা খবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মেয়র হিসেবে এমন একজনকে চাই, যিনি শুধু কাচঘেরা এসি গাড়িতে বসে থাকবেন না, মানুষের সমস্যায় ছুটে আসবেন।’
শহরের কুমিল্লা কলোনির ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনীতি যাঁরা করেন তাঁদের বিরুদ্ধে কমবেশি কিছু মামলা থাকেই। তাই মামলাকে গুরুত্ব না দিয়ে যাঁকে যোগ্য মনে করব, তাঁকেই ভোট দেব।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নরসিংদী জেলার সভাপতি শহিদুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে সৎ, যোগ্য ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন লোককে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছি।’
কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে কয়টি মামলা রয়েছে, বড় ভাই প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধেও সেই একই মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক কারণে আমাদের দুই ভাইকে প্রতিহত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে।’
মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই আমাকে মেয়র লোকমান হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.