ক্ষেত্র তৈরি না করে এক মঞ্চে ওঠা অর্থহীন! by আবদুর রহিম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ে একই মঞ্চ থেকে (১৭ অক্টেবর) বক্তব্য পেশ করার সরকার প্রচারিত খবরে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু বেগম জিয়া জানিয়ে দিলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বর্তমান সরকারের নির্যাতনমূলক আচরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের অনীহা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেতিবাচক নীতির কারণে তিনি সে সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। বেগম জিয়ার এ সিদ্ধান্তকে সরকারদলীয় চিফ স্লইপ, বিরোধীদলীয় নেত্রীর রাজনৈতিক দীনতা বলে আখ্যায়িত করেন। প্রশ্ন হলো এক মঞ্চ থেকে দুই বিপরীত মেরুর দুই নেত্রীর একই বিষয় নিয়ে ভাষণ দেয়ার ক্ষেত্র কি তৈরি হয়েছে? মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই নেত্রী সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে বক্তব্য পেশ করলে, তা কি কার্যত কোনো সুফল বয়ে আনত? বেগম জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সরকারের সাফল্যের বর্ণনা দেন এবং বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। হয়তো, সম্মেলন স্থলে গিয়ে তিনি তার একই মনোভাব প্রকাশ করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে আগের তুলনায় সাধারণ্যে অনেক সংযত বক্তব্য পেশ করলেও তার সরকারের বিরুদ্ধে কারও সমালোচনা মুখ বুজে হজম করার পাত্রী তিনি নন। এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গত কারণে মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে যে, এক মঞ্চ থেকে দু’নেত্রীর প্রস্তাবিত বক্তৃতা একটি হাস্যকর রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত হতে পারত। সে ক্ষেত্রে কি শেখ হাসিনা তার বিগত সরকার আমলের চিত্র তুলে ধরলে এবং সঙ্গে সঙ্গে খালেদা সরকারের কার্যকলাপের বিবরণ দিলে কুরুক্ষেত্রে পরিণত হতো না বঙ্গবন্ব্দু সম্মেলন কেন্দ্র (আগের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র)? এমন পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের ‘সাহসী স্বেচ্ছাসেবীরা’ পরস্পরের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দু’পক্ষের স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ নিজ নেত্রীর মান-ইজ্জত রক্ষার নিমিত্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারেও হয়তো কুণ্ঠাবোধ করত না। স্বপ্নের মিলনমেলা তখন রূপান্তরিত হতো এক মহা ট্র্যাজেডি নাটকে, যা ওয়ার্ল্ড মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর একটি খবর হিসেবে পরিণত হতে পারত। ওতে আমাদের অলরেডি আক্রান্ত ভাবমূর্তি কি বৃদ্ধি পেত? শোকর আলহামদুলিল্লাহ! অল্পের ওপর দিয়ে গেছে সম্ভাব্য সুনামি। সিরিয়াসলি বলছি, পৃথিবীতে সমস্যা যত আছে সমাধান আছে তার চেয়ে বেশি। দুই যুধ্যমান দেশ বা রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা আনতে হলে প্রথমে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে হয় অতি সংযতভাবে ও গোপনীয়তা বজায় রেখে। বিশ্ব রাজনীতিতে কেউ কি আঁচ করতে পেরেছিল চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সল্ট্র্যাটেজিক বন্ব্দু বলে পরিচিত হবে? অতি সংগোপনে সুপার ডিপ্লোম্যাট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার দ্বারা ক্ষেত্র প্রস্তুতের পরই প্রেসিডেন্ট নিক্সন ১৯৭১ সালের এক মাহেন্দ্রক্ষণে পিকিং বিমানবন্দরে পা রাখেন। পাশের ভারতে দেখেছি বিপরীত মেরুতে অবস্থানকারী কংগ্রেস ও সিপিএম (কমিউনিসল্ট পার্টি, মার্কসবাদী) একই মঞ্চে থেকে নির্বাচন করেনি? পরে অবস্থানগত কারণে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার ঘটনা সবার জানা। আবার ভারতীয় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ভারতীয় রাজনীতি, বিশেষ করে কমিউনিসল্টশাসিত পশ্চিম বাংলায় প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। একাধারে তিনি কমিউনিসল্ট ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বস্লদিন সংগ্রাম চালিয়ে যান। মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে পুনরায় কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বর্তমানে মহাসুখে বিশ্বের সর্ববৃহত্ রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে দিল্লির মসনদের অতি কাছের মানুষ এখন মমতা দেবী। হঠাত্ করে যেমন বন্ব্দু হওয়া যায় না, তেমনি বিনা কারণে কেউ শত্রুও হয় না। সময় নিয়ে এ বিষয়ে এগুতে বা পেছাতে হয়—যখন যা প্রয়োজন। তবে শত্রুকে মিত্রতে পরিণত করতে হলে অতি সতর্কতার সঙ্গে পর্দার অন্তরাল থেকে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়। শুধু একটি ঘোষণা দিয়ে দিলেই দুর্বল প্রতিপক্ষ সবল শক্তির ডাকে সাড়া দেবে তেমন আশা করা ঠিক নয়। তবে মিলন ঘটানোর পেছনে যারা অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তারা কখনও লোক সম্মুখে এসেছিলেন বলে আমার জানা নেই। ফল ফলাতে হলে ক্ষেত্র আগে প্রস্তুত করতে হয়। সারহীন নিরস জমিতে সরস ফল ফলানোর চেষ্টা বৃথা। সমঝোতায় পৌঁছার জন্য প্রয়োজন উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এজেন্ডা। প্রতিবেশী দু’দেশের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে দলমত নির্বিশেষে একটি সম্মেলন করা এখন একান্ত প্রয়োজন। সরকার এমন উদ্যোগ নিলে দেশপ্রেমিক কোনো দল সে সম্মেলনে উপস্থিত না হয়ে পারবে না। আমাদের দেশের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দু’দেশের সম্পর্কের ক্রমাবনতি ঘটায় সারাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে দলে দলে। এ দুর্যোগ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে অর্থবহ আলোচনা অত্যাবশ্যক। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে যুক্তফদ্ধন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুসলিম লীগকে, বলতে গেলে সমূলে উত্পাটন করার পেছনে ছিল কিছু দেশপ্রেমী ছাত্র-যুবক ও রাজনীতিবিদ। কমন এজেন্ডা থাকলেই তবে কমন শত্রুর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ, শের-এ-বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টি, মওলানা আতাহার আলীর নেতৃত্বাধীন নেজামে ইসলাম, বামপন্থী নেতা হাজি দানেশের গণতন্ত্রী দল এক মঞ্চে শরিক হতে পেরেছে পর্দার আড়ালে থাকা কিছু নিঃস্বার্থ লোকের একনিষ্ঠ চেষ্টার ফলে। পাঠকদের কাছে আমার বিশেষ নিবেদন, উপরোক্ত মন্তব্য লেখা হয়েছিল বেগম জিয়ার দারিদ্র্য বিমোচন সম্মেলনে না যাওয়ার ঘোষণা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরপরই। আমি যা আশঙ্কা করেছিলাম, অবস্থাদৃষ্টে প্রমাণ হলো যে, দু’নেত্রীর একই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দেয়াটা মোটেই সুখপ্রদ হতো না। স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সম্মেলন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলতে চাই, তিনি সত্যিকারভাবে চেয়েছিলেন দু’নেত্রীকে একই মঞ্চে এনে দেশে নতুন রাজনৈতিক কালচার সৃষ্টি করতে, তা করতে পারলে ভালো হতো—বিশেষ করে স্পিকারের নিজের জন্য। ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকা সমপ্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকারের সঙ্গে স্পিকারের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক প্রবিশন থাকা সত্ত্ব্বেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একই সময় দেশে অনুপস্থিত থাকাকালে স্পিকারকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তা ছাড়া দৃশ্যত স্পিকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি পার্লামেন্টে বিরোধী দলকে নিয়ে আসতে পারছেন না। হাউসে আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি সরকারি দলের সমর্থন ছাড়া এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৭ অক্টোবর) দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে তার স্বভাবসুলভ তির্যক ও রসালো মন্তব্য করেছেন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকলে বেগম জিয়া চুপ করে তা হজম করতেন, তেমন মনে হয় না। স্পিকার আবদুল হামিদের ভাষায়, সম্মেলনটি ছিল ‘সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক’। কথাটা কি ঠিক? তা যদি হতো তাহলে তা করা যেত, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য যেসব সংস্থা কাজ করছে এবং সে বিষয়ে অভিজ্ঞ বিজ্ঞজনদের দ্বারা। দারিদ্র্য একটি সর্বগ্রাসী বিশ্ব সমস্যা; তা নিরূপণ করার নিমিত্তে এবং জাতিসংঘের অর্থায়নে উন্নয়নশীল দেশের পাঁচতারা হোটেল (এর থেকে বড় ভেন্যু থাকলে তাতে) গুলোয় বিশাল অর্থ ব্যয়ে নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আঞ্চলিক ও বিশ্বসম্মেলন হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পৃথিবীতে বুভুক্ষু জনসংখ্যা সমানে বেড়ে চলেছে। আগামী ৫০ বছরে অবস্থা আরও করুণ রূপ ধারণ করবে বলে মন্তব্য বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীদের। এ ধরনের একটি সম্মেলন আয়োজনে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, যা দিয়ে কয়েক হাজার নিরন্ন মানুষের এক মাস আহার জোগানো যায়। মাদার তেরেসা বলেছেন, হাজার লোককে খাওয়াতে না পার, অন্তত একটি লোকের অন্নসংস্থান করো। সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা স্বাধীন বিশ্বে এত জ্যামিতিক হারে বাড়ত না। এ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করতে চাই। বছর ত্রিশেক আগের ঘটনা। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী রাবীণ মজুমদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক বক্তা বলেন, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ মোহাম্মদ খসরু জাতীয় পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সোনার অমূল্য মেডেলটি বিক্রি করেন তার গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য। অতএব বক্তা গুণী শিল্পীকে সোনার মেডেল না দিয়ে নগদ অর্থ প্রদান করার প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু সে মুহূর্তে অনুষ্ঠান আয়োজকরা মেডেলের বিকল্প অর্থ দিতে পারেননি পাবনার কৃতী সন্তান নন্দিত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী বারীণ মজুমদারকে। হয়তো সেই মেডেলটি আজও সযতনে সংরক্ষণ করছে, বারীন মজুমদার-পুত্র উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। ফিরে যাই পূর্বালোচনায়। সব বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে পছন্দ করেন সাবেক আমলা ও রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের অধীনে নিযুক্ত (পরে স্ব-ইচ্ছায় বিযুক্ত) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। তিনি মনে করেন, সংকীর্ণ দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে বেগম জিয়া সম্মেলনে যোগ দেননি। দল ছাড়া বেগম জিয়া বা শেখ হাসিনাকে কি ভাবা যায়! বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশ্য বেগম জিয়া হিসাব-নিকাশ করেই সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বেগম জিয়া যদি আগে সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে হামিদ সাহেবকে কথা দিয়ে থাকেন, তাহলে তার সে সিদ্ধান্তটি স্পিকার সাহেবকে জানানো উচিত ছিল। এ কথা বেগম জিয়াকে স্বীকার করতে হবে হামিদ সাহেব তো তার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন। রাজনীতি ও কূটনীতিতে এমন তো হতেই পারে।
এই সেদিন হিলারি ক্লিনটন মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বলেন, উই হ্যাভ অ্যাগ্রিড টু ডিস অ্যাগ্রি (পরস্পর ভিন্নমত পোষণ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি আমরা)। যার যেটা ভালো তা বলতে দোষ কী! পদত্যাগে অভ্যস্ত ড. আকবর আলি আমাদের আলোচ্য বিষয় নন। দিন তিনেক আগে তিনি রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়ে স্বয়ং খবর সৃষ্টি করেছেন। তার কথা শুনলে আমাদের নোয়াখালী শহরের অপ্রতিরোধ্য ফুটবলার রাজা মিয়ার চেহারা ভেসে ওঠে স্মৃতিপটে। রাজা মিয়ার পায়ে বল পড়লে দুই পক্ষের গোলকিপার সন্ত্রস্ত হয়ে থাকত—গোলপোসল্ট পেলেই হয়, আপন-পর বিচার না করে বল গোলে ঢোকার বিরল সাফল্য রাজা মিয়া অর্জন করেছিল। ড. মুনিরুজ্জামান মিঞার ভাষ্যমতে, বেগম জিয়া সরকারের সামপ্রতিক কয়েকটি আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। হাইকোর্টে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি ও সাবেক বিএনপিদলীয় এমপি কারারুদ্ধ পিন্টুর কাছ থেকে অত্যাচারের মাধ্যমে কিছু কথা আদায়ের লক্ষ্যে নির্যাতনের বিষয়, বেগম জিয়ার সম্মেলন বর্জনের কারণ হতে পারে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মনে করেন।

No comments

Powered by Blogger.