গাদ্দাফির জন্য মরুভূমিতে বিদ্রোহীদের অপেক্ষা

‘গাদ্দাফি কোথায়? আমরা অবশ্যই তাঁকে ধরব।’ কথাটি বলছিলেন লিবিয়ার বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) কর্মকর্তা বাশার আলী।
লিবিয়ার বনি ওয়ালিদ শহরমুখী একটি মরুভূমিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাশার। রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই বনি ওয়ালিদ আদিবাসীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মনে করা হচ্ছে, ওই শহরে লুকিয়ে আছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এটিই গাদ্দাফির ক্ষমতার অন্যতম শেষ ঘাঁটি।
উপকূলীয় শহর সার্তে ও সাভার কিছুটা ভেতরে ত্রিমুখী একটি বিশাল মরুভূমি বনি ওয়ালিদ, যা গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এনটিসির যোদ্ধারা বর্তমানে বনি ওয়ালিদ শহরের প্রবেশপথে অপেক্ষা করছেন। যোদ্ধারা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায় প্রতিদিন গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে ছোটখাটো লড়াই করছেন। কিন্তু এখনো তাঁদের কমান্ডাররা সামনে এগিয়ে যাওয়ার আদেশ দেননি।
এনটিসির যোদ্ধারা তাই এখন বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে দুরবিন নিয়ে লোকজন ও যানবাহনের ওপর নজরদারি করছেন।
এনটিসির যোদ্ধা ইব্রাহিম ওবায়েদ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা অপেক্ষা করছি। প্রত্যেকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। প্রথমে সার্তেকে মুক্ত করা হবে, এরপর বনি ওয়ালিদকে।’
এনটিসির যোদ্ধারা জানান, প্রায় ১৬ হাজার মানুষ নিয়ে গঠিত ১৬৮টি ইউনিট তাঁদের আঞ্চলিক ঘাঁটি মিসতারার আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা স্বীকার করেন, বনি ওয়ালিদ বা সার্তেতে যেকোনো লড়াই খুব কঠিন হবে।
এ ব্যাপারে এনটিসির একটি ইউনিটের কমান্ডার ইসমাইল সাভি বলেন, ‘এটি শুধু সংখ্যাগত বিষয় নয়। বনি ওয়ালিদ পাহাড় দিয়ে ঘেরা। গাদ্দাফির লোকজনের ট্যাংক আছে এবং তারা পাহাড়ের ওপরে রকেট লাঞ্চার মোতায়েন করেছে। সমানভাবে সার্তেতেও লড়াই কঠিন হবে।’
লিবিয়ায় আবার দূতাবাস খুলবে তুরস্ক: তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রিপোলিতে তুর্কি দূতাবাস আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে আলী কামাল আয়দিনকে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তুরস্ক। নতুন রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে আঙ্কারা ছেড়ে তিউনিসিয়া হয়ে ত্রিপোলির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.