বোল্টের ফিরে আসার দিন!

আজ উসাইন বোল্টের গ্লানিমোচনের দিন। ১০০ মিটারের বিপর্যয় কাটিয়ে স্বরূপে ফেরার দিন। দেগুর দর্শকদের হূদয়ে নিজের স্থান আরও পাকাপাকি করার দিন। এই ইঙ্গিত তিনি দিয়ে রেখেছেন কাল ২০০ মিটারের বাছাইপর্বে। দু-দুটি হিট পেরিয়েছেন অনায়াসেই। ফিরে এসেছে তাঁর সেই দুষ্টুমিমাখা হাসিও।
কাল ২০০ মিটারের সেমিফাইনাল জেতার পর একটু দম্ভোক্তিই করলেন বোল্ট, ‘এটা আমার প্রিয় ইভেন্ট। আমার শুরুটা যদি ভালো হয় এবং দৌড়টা শেষ করতে পারি, এমন কেউ নেই যে আমাকে হারাতে পারে। আমার কাছ থেকে সবাই সেরাটাই আশা করে। সবকিছু ঠিকঠাক মতো করার দিকেই আমার সমস্ত মনোযোগ।’
স্বদেশি ইয়োহান ব্লেকের হাতে চলে গেছে ১০০ মিটারের বিশ্ব শিরোপা। বোল্ট তাই অনুভব করছেন কিছু একটা করা উচিত। ১০০ মিটার নিয়ে বলেছেন, ‘আমি জানি আমি এখনো সেরা। অবশ্যই আমি হতাশ, কারণ আমি নিজের সেরাটা করার সুযোগ নষ্ট করেছি।’
বোল্ট যখন দেগুর ৪৫ হাজার দর্শককে তাঁর গতি দিয়ে উন্মাতাল করেছেন, ঠিক তখনই আরেক তারকা একটু আগেভাগেই ‘বিদায়’ বলতে বাধ্য হয়েছেন। পা-হীন অ্যাথলেট অস্কার পিস্টোরিয়াসকে বাদ দিয়েই ৪–৪০০ মিটার রিলের ফাইনালে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ আগের দিনই হিটে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়া দলে ছিলেন পিস্টোরিয়াস।
তবে এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে থেকে রুপা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকানরা। তবে একদম খালি হাতে ফেরেননি পিস্টোরিয়াস। হিটে অংশ নেওয়ায় রুপার পদক পেয়েছেন তিনিও।
মহিলাদের ২০০ মিটারে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালিসন ফেলিক্সের মুকুট কেড়ে নিয়েছেন জ্যামাইকার ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল-ব্রাউন। কারমেলিটা জেটারকে বঞ্চিত করেছেন ১০০ ও ২০০ মিটারের ডাবল জয় থেকেও। অবশেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিততে পেরে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ক্যাম্পবেল-ব্রাউন, ‘আমাকে শক্তি জোগানোর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
পুরুষদের লং জাম্পে চতুর্থ বিশ্ব শিরোপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোয়াইট ফিলিপস। এর আগে ২০০৩, ২০০৫ ও ২০০৯ সালেও জিতেছিলেন এই মার্কিন। মহিলাদের ১০ হাজারের পর ৫ হাজার মিটারের সোনা জিতে ‘ডাবল’ করেছেন কেনিয়ার ভিভিয়ান চেরুইয়ট।

No comments

Powered by Blogger.