টেস্টেও নেই গেইল-সারওয়ান

ওয়ানডের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেও নেই ক্রিস গেইল। কারণটা মোটামুটি সবারই জানা। তার পরও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেটি ব্যাখ্যা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। যেটির মূল কথা, গেইলের সঙ্গে ঝামেলার মীমাংসা এখনো হয়নি। ডব্লুআইসিবি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড পরিচালকদের কাছে একটি প্রতিবেদন দেবে, গেইলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে এরপরই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে গতকালই চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে গেইলের। বাংলাদেশ সফরের দলে না-থাকা তাঁকে কতটা দুঃখ দেবে বা আদৌ দেবে কি না, কে জানে। তবে গেইলের না-থাকা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য অবশ্যই বড় স্বস্তি।
দলে নেই সাবেক অধিনায়ক রামনরেশ সারওয়ান ও অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোও। তবে ওয়ানডেতে না থাকলেও অনুমিতভাবেই টেস্ট দলে আছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল ও ফিদেল এডওয়ার্ডস। ওয়ানডের মতো টেস্ট দলেও ফিরেছেন উইকেটরক্ষক দিনেশ রামদিন। তবে গত কিছুদিনের নিয়মিত উইকেটরক্ষক কার্লটন বাফও আছেন ১৫ সদস্যের দলে। ২০০২ সালের পর এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফরে বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গেইল-সারওয়ান না থাকায় ওই সফরের শুধু চন্দরপল ও মারলন স্যামুয়েলসই আছেন এবারের দলে।
দলে ফিরেছেন ক্রেইগ ব্রাফেটও। বয়সভিত্তিকসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করে নজরকাড়া ওপেনার ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে ছিলেন। ওই সিরিজে খেলা না হলেও অভিষেক হয় গত মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে বাদ পড়ে যান ২ ইনিংসে ১৫ রান করার পর। নিজের প্রতিভা প্রমাণের আরেকটা সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশ সফরে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে সুবিধা করতে না পারলেও সারওয়ানের চোটে দলে টিকে গেছেন ওপেনার কাইরান পাওয়েল।
অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে গত ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ হওয়া শেন শিলিংফোর্ডও ফিরেছেন দলে। অ্যাকশন শোধরানোর পর গত জুনে বৈধতা পেয়েছে তাঁর অ্যাকশন। ৫ টেস্টে ১৪ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনারের সঙ্গে আছেন লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু। স্পিনিং উইকেট বানালে নিজেদের ফাঁদে আটকে যাওয়ার আশঙ্কা ভালোই থাকবে বাংলাদেশের। রামপল-রোচ-এডওয়ার্ডসদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণও যথেষ্টই ধারালো। ঘরের মাটিতেও তাই শক্ত পরীক্ষার মুখোমুখিই হতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।

No comments

Powered by Blogger.