প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে আক্ষেপ

চেহারায় স্পষ্ট বিমানভ্রমণের ক্লান্তি। দুই হাতে ধরা শপিং ব্যাগ ও বড় স্যুটকেস। ফুটবল ফেডারেশন ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামতে ব্যস্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইমন। ইরাক থেকে চার ম্যাচেই হেরে মাত্রই ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ভ্রমণক্লান্তি উপেক্ষা করেই ইমনকে ছুটতে হলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে খেলতে।
মহানগর স্কুল ফুটবল একাদশের হয়ে ইমনের সঙ্গে কাল খেলেছে ইরাকফেরত বিজয়, জুয়েল, রাজন ও শুভ। ইমনদের দল ঢাকা মহানগর স্কুল একাদশ ম্যাচে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেও উঠে গেছে সেমিফাইনালে।
তবে এই আনন্দ উপভোগ করতে পারছিল না ইমন। ইরাকের দুঃস্বপ্নের সফরটা বারবার মনে পড়ছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক ইরাকের কাছে বাংলাদেশ উড়ে যায় ৭-০ গোলে, ১৬ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের কাছে ২-০, ১৮ সেপ্টেম্বর ইরানের কাছে ৩-০ এবং ২০ সেপ্টেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে হার ৪-০ গোলে।
কেন এই বাজে ফল? ইমনের উত্তর, ‘ভেবেছিলাম, অন্তত দুটি ম্যাচ জিতব। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু এভাবে এতগুলো গোল হজম করতে হবে ভাবিনি।’ তার কথা, ‘ইরাকে অতিরিক্ত গরম। আমরা ৪০-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলেছি। ঘামছিলাম না। কিন্তু আমাদের গলা আর বুক বারবার শুকিয়ে আসছিল।’ গোলরক্ষক শুভ বলেছে, ‘ইরাকের পাহাড়ের ওপর ডুহক স্টেডিয়াম। উচ্চতাও সমস্যা ছিল। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’ স্টপার সুশীল অবশ্য দাবি করল, সে ভালোই খেলেছে, ‘আমি একা আর কত খেলব? অন্যরা তো সেভাবে খেলতেই পারছিল না।’
এতসব সমস্যা ছাপিয়ে কোচ নুরুল হক (মানিক) দায়ী করলেন পর্যাপ্ত অনুশীলনের অভাবকেই, ‘এই টুর্নামেন্টের জন্য ইরাক চার বছর ধরে অনুশীলন করেছে, ফিলিস্তিনের মতো দলও ছয় মাস অনুশীলন করেছে। কিন্তু আমরা দুই মাসও অনুশীলন করতে পারিনি।’

No comments

Powered by Blogger.