টেন্ডুলকারই দ্রাবিড়ের প্রেরণাসুধা

শুধু উঠতি ক্রিকেটারদেরই নন, শচীন টেন্ডুলকার বুড়োদেরও প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। কিছুদিন আগে রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিসরা বলেছিলেন, টেন্ডুলকারের কাছ থেকে প্রেরণা খুঁজে তাঁরা এগিয়ে যেতে চান সামনের দিনগুলোয়। এবার ঠিক একই কথা একটু ঘুরিয়ে বললেন টেন্ডুলকার-সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড়ও।
‘ও তো আসলে কিংবদন্তি। গত ২-৩ বছরে বিস্ময়কর ব্যাটিং করছে, সম্ভবত ওর জীবনের সেরা ব্যাটিং’—বুড়ো বয়সেও এসে যে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়, টেন্ডুলকারের কাছ থেকেই সেটা শিখলেন দ্রাবিড়। টেস্ট দলে যোগ দিতে মাত্রই জ্যামাইকায় পৌঁছেছেন। সেখানেই প্রথম অনুশীলন করে পরশু সাংবাদিকদের কাছে খুলে দিলেন শচীন-বন্দনার জানালা, ‘আমি যখন দলে এলাম, তত দিনে ও সাত বছরের মতো খেলে ফেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে (১৯৯৭ সালে) ওর নেতৃত্বে খেলেছিও। ও আমার জন্য ছিল অন্তহীন অনুপ্রেরণা। এখনো সেই প্রেরণার জায়গাটি বদলায়নি।’
দ্রাবিড় নিজেও একজন কিংবদন্তি। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে। ১২ হাজার ৬৩ রান করা দ্রাবিড়ের সামনে সুযোগ এসেছে এই সফরেই দুইয়ে উঠে গিয়ে, ঠিক টেন্ডুলকারের পেছনে জায়গা করে নেওয়ার। এ জন্য ৩০১ রান করতে হবে তাঁকে। দুইয়ে থাকা পন্টিংয়ের রান ১২৩৬৩। কিন্তু এখনো বিনয়ী দ্রাবিড়। এখনো বিনম্র স্বরে কথা বলেন। এখনো প্রতিটি টেস্টের জন্য ঘাম ঝরানো প্রস্তুতিই নেন।
ঠিকই ১৫০টি টেস্ট খেলা ‘দ্য ওয়াল’ বলছেন, ‘সাত মাস হলো টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে আছি। কিন্তু জানতাম, সামনে টানা সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি টেস্ট খেলার পর পরই ইংল্যান্ড সফরে চারটি টেস্ট)। আমি তাই নিজের প্রস্তুতিটা নিয়েই রেখেছিলাম। তবে যত প্রস্তুতিই নিন না কেন, একটু চাপ তো থাকবেই। একটু নার্ভাস লাগবে। অস্বস্তিকর অনুভূতি হবে। এগুলো কখনোই পাল্টায় না, আগের মতোই থাকে। শুরুর দিকে রান পেয়ে গেলে ভালো। ফর্মটা টেনে নিয়ে যাওয়াটাই আসল।’
৩৮ বছর বয়সী দ্রাবিড় যতই টেন্ডুলকারের কাছ থেকে অমৃতধারার সন্ধান পান, এও জানেন, চিরকাল খেলে যেতে পারবেন না। তবে সাবেক অধিনায়ক পরিবর্তনটা সাদরেই বরণ করতে প্রস্তুত, ‘পরের এক-দুই বছর তরুণ ব্যাটসম্যানদের এগিয়ে আসতে হবে। আমি, সৌরভ আর লক্ষ্মণ যেমন এসেছিলাম। যত দ্রুত সম্ভব এই তরুণদের আসতে হবে এবং আমাদের মতোই ১৫ বছরের লম্বা ক্যারিয়ার বানিয়ে নিতে হবে। তা হলেই দলটার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.