রপ্তানি আয় দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়াল

দেশের বার্ষিক পণ্য রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানির আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
১১ মাসের এই রপ্তানি আয় গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। শুধু তা-ই নয়, এটি গত অর্থবছরের বার্ষিক মোট রপ্তানি আয়ের এক হাজার ৬২০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের চেয়েও প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি।
সর্বোপরি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক বেশি। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল সাড়ে ১৮ হাজার কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২২৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, যা গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আর এ বছর এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২০৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যা কিনা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
আর একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৭৫১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা কিনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
এই সময়কালে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। হোম টেক্সটাইল রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
পাট ও পাটজাত পণ্যের সামগ্রিক রপ্তানি আয় এই সময়কালে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। মোট রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার, পাট-সুতা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এবং চটের থলে ও ছালা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চামড়া রপ্তানি থেকে ২৭ কোটি ডলার, চামড়াজাত পণ্য থেকে পাঁচ কোটি ডলার, তুলা ও তুলাজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এ ছাড়া প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ছয় কোটি ২৭ লাখ ডলার আর রাবার রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় দুই কোটি ডলার।

No comments

Powered by Blogger.