লাদেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ খারিজ যুক্তরাষ্ট্রের

আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় আইনজীবীরা অভিযোগগুলো বাদ দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারকের প্রতি অনুরোধ জানান। এ সময় বিচারক লুইস কাপলান অভিযোগগুলো খারিজ করে দেন।
বিন লাদেনের বিরুদ্ধে হত্যা, বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহারসহ ২০০টিরও বেশি অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের আগস্টে কেনিয়া ও তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার অভিযোগও ছিল। ওই হামলায় ২২৪ জনের প্রাণহানি হয়। তবে এ অভিযোগগুলোর কোনোটির সঙ্গেই ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার সম্পর্ক নেই।
নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে পেশ করা নথিপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, ডিএনএ পরীক্ষা ও চেহারা-শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিন লাদেনের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। গত মে মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে মার্কিন কমান্ডোদের অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন।
নিহত হওয়ার পর যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিন লাদেনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত নতুন তথ্য আদালতে দেওয়া নথিতে প্রকাশ করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় আইনজীবীরা। নথির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানে বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর কমান্ডোরা তাঁর ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে আফগানিস্তানের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রকৌশলীরা বিন লাদেনের পরিবারের ‘কয়েকজন সদস্যের’ সংগৃহীত ডিএনএর সঙ্গে তাঁর ডিএনএ মিলিয়ে দেখেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সন্ত্রাসবাদ ও গুপ্তচরবৃত্তি দমনবিষয়ক মার্কিন কর্মকর্তা জর্জ টসকাস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দেওয়া নথিতে লিখেছেন, বিন লাদেনকে শনাক্ত করার ডিএনএ পরীক্ষায় ভুল হওয়ার আশঙ্কা ‘১১ দশমিক ৮ কোয়াড্রিলিয়নের ১ ভাগ’।

No comments

Powered by Blogger.