নির্দোষ দাবি পাঁচ মেক্সিকানের

দুঃসময় যখন আসে, চারদিক থেকেই আসে। আন্তোনিও নেলসন সেটা ভালোই টের পাচ্ছেন। গোল্ডকাপে খেলতে আসার আগে আগেই বাবাকে হারিয়েছেন। আর এখন তো ক্যারিয়ারজুড়েই অপবাদের তিলক জুটে যাওয়ার জোগাড়। ডোপ পাপে বিদ্ধ মেক্সিকোর এই মিডফিল্ডার।
ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া নেলসন কিন্তু জোরের সঙ্গেই নিজেকে নিষ্কলুষ দাবি করছেন, ‘এ মুহূর্তে আমি ক্ষুব্ধ। হয়তো দুঃখবোধটা আসবে এর পরে। আঘাত পাওয়ার পর উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টাই সবাই করে। আমি কোনো অপরাধ করিনি, কোনো ভুলও নয়। যা করিনি তার জন্য তো আমার ক্যারিয়ার কলঙ্কিত হতে পারে না।’
নেলসনের মতোই হয়তো তাঁর বাকি চার সতীর্থ গিলের্মো ওচোয়া, ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ, এডগার ডিউনাস ও ক্রিস্টিয়ান বারমুদেজের উপলব্ধি। অবশ্য তাঁরা আদৌ নিষ্পাপ কি না, সেটি বোঝা যাবে দ্বিতীয় ডোপ টেস্টের ফল আসার পর। পরশুই যুক্তরাষ্ট্রে সেই ডোপ টেস্ট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
নিয়ম অনুযায়ী কনক্যাকাফ (উত্তর-মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল অভিভাবক সংস্থা) এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। মেক্সিকোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ক্যাম্প চলার সময় খাওয়া মাংসের কারণেই এই সমস্যা। এ ব্যাপারে মেক্সিকোর কাছ থেকে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে কনক্যাকাফ।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটকে গোলরক্ষক ওচোয়া বলেছেন, ‘এটা আমাদের সবার কাছেই বিস্ময় হয়ে এসেছে। লুকোনোর মতো কিছুই করিনি আমরা। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাই। এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা আছে, আমরা অন্যায় কিছু করিনি।’
এই পাঁচজনের বদলি হিসেবে অন্য পাঁচ ফুটবলার মেক্সিকো নিতে পারবে কি না—এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পাঁচ ফুটবলারকে নিয়ে জেতা মেক্সিকোর প্রথম ম্যাচটির ফলও বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনক্যাকাফ। আপাতত দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা। সেই অপেক্ষায় আছে মেক্সিকো ফুটবল সংস্থাও (ফেমেক্সফুট)। জাতীয় দলের পরিচালক হেক্টর ইনারিত্তু পাঁচ খেলোয়াড়কে নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে এসেছিলেন। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারেই হয়েছে পরীক্ষাটি।

No comments

Powered by Blogger.