সেপ ব্ল্যাটারের ‘বিচক্ষণ পর্ষদ’

নির্বাচনের আগেই ফিফায় নানাবিধ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বিশ্বময়। দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে নির্বাচন থেকেও সরে দাঁড়াতে হয়েছে বিন হাম্মামকে। প্রতিদ্বন্দ্বীর অনুপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সেপ ব্ল্যাটারের দায়িত্ব এখন ফিফা থেকে সব অনিয়ম দূর করা, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাকে সব অপবাদ থেকে মুক্তি দেওয়া। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন ব্ল্যাটার ইতিমধ্যে।
ব্ল্যাটার তিনজন ভুবন বিখ্যাত ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠন করেছেন একটি ‘বিচক্ষণ পর্ষদ’ যাঁদের কাজ হবে ফিফাকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা। এই পর্ষদের সদস্য হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার, অপেরা কিংবদন্তি প্লাসিডো ডোমিনগো ও টোটাল ফুটবলের জনক হিসেবে খ্যাত ডাচ ফুটবল কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ।
গতকাল সোমবার সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে ব্ল্যাটার বলেছেন, ‘এই তিন বিখ্যাত ব্যক্তি কম-বেশি ফিফার উপদেষ্টা হিসেবেই কাজ করবেন।’
কিছুটা রসিকতার সুরেই ব্ল্যাটার আরও বলেন, ‘এই তিন ব্যক্তি নিজেরাও বিচক্ষণ। উপদেষ্টার কাজের পাশাপাশি তাঁরা এই সংস্থায় স্বচ্ছতা আনতেও কাজ করবেন।’
‘ফিফার ইমেজ পুনরুদ্ধারে তাঁরা কাজ করবেন। এই মুহূর্তে এটাই আমাদের অগ্রাধিকার।’ ব্ল্যাটারের মন্তব্য।
প্লাসিডো ডোমিনগোর পরিচয় তিনি ১৯৯০ সাল থেকে টানা চারটি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশ করেছিলেন। হেনরি কিসিঞ্জারের পরিচয় অবশ্য নতুন করে দেওয়ার কিছু নেই। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিশ্বময় পরিচিত। কিসিঞ্জার অবশ্য এখনো ফিফাকে জানাননি যে তিনি এই পর্ষদে যোগ দেবেন কিনা। ডোমিনগো অবশ্য এরই মধ্যে আনন্দের সঙ্গেই এই দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর ক্রুইফ তো ফুটবলেরই লোক।
ব্ল্যাটার বলেছেন, নতুনভাবে দায়িত্ব নিয়েই তিনি ফিফাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে তাঁর মনোভাবে একেবারে কঠোর।’
দেখা যাক, নতুন এই বিচক্ষণ কমিটি কতটা বিচক্ষণতার সঙ্গে ফিফাকে কলঙ্কমুক্ত করতে পারেন!

No comments

Powered by Blogger.