ব্লাঁকে জিদানের সমর্থন

এরই মধ্যে সমর্থন অনেকেই দিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় সমর্থনটা লরাঁ ব্লাঁ পেলেন সদ্যই। ফ্রান্স দলের কোচের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই সাবেক সতীর্থ জিনেদিন জিদান। ফরাসি ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা বলেই নয়, বিতর্কের মূল বিষয় অভিবাসী ফরাসিরা, আর জিদান তাঁদেরই একজন বলে এই সমর্থনের গুরুত্ব আরও বেশি।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল ব্লাঁর কথিত একটি ‘সুপারিশ’ ফাঁস হয়ে যাওয়ায়। ফ্রান্সের ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট ফরাসি ফুটবল কর্তাদের একটি সভার আলোচ্য বিষয়গুলো প্রকাশ করে দেয়। সেই বৈঠকে টেকনিক্যাল পরিচালক ফ্রাঙ্কোইস, ব্লাঁসহ আরও কয়েকজন নাকি সুপারিশ করেন, কিশোর ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ একাডেমিগুলোয় আফ্রিকান-আরব খেলোয়াড়দের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করার। মূল ফরাসিদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ও অভিবাসী ফুটবলারদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই কোটা করা হলে ফরাসি শ্বেতাঙ্গ ফুটবলাররা বাড়তি সুযোগ পাবেন।
এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর খোদ ব্লাঁরই বিশ্বকাপজয়ী সাবেক সতীর্থদের কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন। প্যাট্রিক ভিয়েরা যেমন ব্লাঁকে বলেছেন ‘বর্ণবাদী’। কোচের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। প্যারিসে শুনানিতে হাজির হতে হবে ব্লাঁকে। দলের টেকনিক্যাল পরিচালক বরখাস্তও হয়েছেন। ব্লাঁর পদত্যাগের খবরও শোনা যাচ্ছিল। যদিও সেই খবর উড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন।
প্যারিসে শুনানির আগে অতিজরুরি সমর্থন ব্লাঁ পেলেন আলজেরীয় বংশোদ্ভূত জিদানের কাছ থেকে। এত দিন চুপ করে থাকা বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর বলেছেন, ‘অবশ্যই ব্লাঁর পদত্যাগ করা ঠিক হবে না। যা ঘটছে তাতে ও অবশ্যই মানসিকভাবে আঘাত পাচ্ছে। ও খুব ভালোমতোই কাজ করছিল। আমাদের এসব নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি না করাই উচিত। এসব ঘটনার কারণে ও সরে দাঁড়ালে সেটি হবে পাগলামি। ওর অবশ্যই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
ব্লাঁ মোটেও বর্ণবাদী নন বলেও মন্তব্য করেছেন জিদান। এও বলেছেন, আফ্রিকান-আরব ফুটবলারদের উঠে আসার পথে ব্লাঁ বাধা হতে চান—এমনটা তাঁর মোটেও মনে হয় না।

No comments

Powered by Blogger.