জুনিয়র অ্যাথলেটিকস আরও বিবর্ণ

তীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে খেলা হতো এত দিন। কিন্তু দীর্ঘ রীতি ভাঙল এবার। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ২৭তম জাতীয় জুনিয়রে অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগই নেই! তাই বেশ কিছু ইভেন্ট কমে গেছে। ৪০০ শিক্ষানবিশ অ্যাথলেট এসেছে বলা হলেও সংখ্যাটা তার চেয়ে কম। আগের সেই প্রাণচাঞ্চল্য আশা করা তো বাড়াবাড়ি।
ছেঁড়া ট্র্যাক মেরামত হয়নি। এসএ গেমসের সময় আনা ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড অকেজোই পড়ে আছে! স্টেডিয়ামে ভেতরে-বাইরে পৃষ্ঠপোষকবিহীন প্রতিযোগিতার কোনো পোস্টার নেই। দায়সারা আয়োজন!
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম কখনো অজুহাত দিলেন, কখনো দায়সারা উত্তর দিয়ে প্রসঙ্গ এড়ালেন। ব্যর্থতা স্বীকার করতে তাঁর আপত্তি, ‘মাঝেমধ্যে দুই-একটা টুর্নামেন্টে এমন হয়ে যায়...! আমরা স্পনসর খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। সে জন্য অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগ বাদ দিয়েছি। তা ছাড়া গরমের কারণে এবার একটু সমস্যা হয়েছে।’ ৮০ লাখ টাকা খরচ করে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছে টিটি ফেডারেশন। আর অ্যাথলেটিকস একটা স্পনসর জোগাড় করতে পারল না! অ্যাথলেটিকস-সংশ্লিষ্ট অনেকে ফেডারেশনের অযোগ্যতাকেই দায়ী করলেন।
এমন মিট থেকে আর কী আশা করা যায়! দুই দিনের প্রতিযোগিতার প্রথম দিনের নয়টি ইভেন্টে তাই কোনো রেকর্ড নেই। অজপাড়াগাঁয়ের অনেক ছেলেমেয়েকে এনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা খেলার নিয়ম-কানুনই জানে না! অনেক কিশোর-কিশোরী খালি পায়ে দৌড়াল। নতুন প্রতিভাও সেভাবে চোখ কাড়ল না।
ছেলেদের বিভাগে দ্রুততম মানব কুড়িগ্রামের আরিফুল ইসলামের (অরেঞ্জ) মধ্যে খানিকটা সম্ভাবনার আলো অবশ্য দেখলেন অনেকে। মেয়েদের বিভাগের দ্রুততম মানবী গতবার দুটি সোনাজয়ী বিকেএসপির মেয়ে পাপিয়া রানী সরকার। ২০০৮ সালেও একবার দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন পাপিয়া। হাইজাম্প ও ট্রিপল জাম্পে দুটি সোনা জিতেছেন খুলনার ছেলে আরমান গাজী। এ ছাড়া সোনাজয়ীরা হলেন—মেয়েদের শটপুটে ময়মনসিংহের মোরসালিন ও হাইজাম্পে বিকেএসপির প্লাবনী হক এবং ছেলেদের ৮০০ মিটারে যশোরের মিলন ও জ্যাভলিন থ্রোতে পাবনার রাশিদুল।

No comments

Powered by Blogger.