আজ ফাইনাল

মুখে হাওয়াই মিঠাই। গায়ে লাইফ জ্যাকেট। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নেপালি মহিলা ফুটবলারদের দেখে অন্য আট-দশজন পর্যটকের মতো মনে হচ্ছিল। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশদের দেখে বোঝা গেল, এটা নেপাল দল।
সাফ মহিলা ফুটবলের আজকের ফাইনালের জন্য যখন শহরের বিডিআর মাঠে সিরিয়াস অনুশীলনে ব্যস্ত ভারত, নেপাল তখন একেবারে নির্ভার। এটি সন্দেহাতীত সত্য, টুর্নামেন্টের দুই সেরা দল উঠেছে ফাইনালে। কাল অনুশীলনে ভারতের কোচ মোহাম্মদ শহীদ জব্বারও সেটাই বললেন, ‘গ্রুপ পর্বে আমরা যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছি সেখানে ততটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। নেপাল টুর্নামেন্টে সব কটি ম্যাচই ভালো খেলেছে। ফাইনালে ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর শেষ লড়াইয়ের আগে দলকে রাখতে চাইছেন নির্ভার, ‘এই ম্যাচে আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা জানি, ভারত শক্তিশালী দল। ওদের বিপক্ষে খেলার আগে মেয়েদের বলেছি পুরোপুরি নির্ভার থাকতে।’
নির্ভার থাকতেই কি না কাল নেপালি মেয়েরা ফুরফুরে মেজাজে পানিতে নামলেন, ছবি তুললেন, স্পিড বোটে চড়ে ঘুরলেন। চড়লেন বিচ-বাইকে। অনুশীলনের বদলে কেনাকাটা করতে গেলেন বার্মিজ মার্কেটে।
বিডিআর মাঠে ভারত দল সকাল ৯টায় এসেই নেমে গেল অনুশীলনে। একটু বেশি সিরিয়াস মনে হলো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা সাসমিতাকে। চার ম্যাচে ১৩ গোল করা ওডিশার তরুণী জানালেন, ‘আমাদের দলটা খুবই ব্যালান্সড। আশা করি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।’ ঢাকায় গত এসএ গেমসের ফাইনালে এই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সোনা জিতেছিল ভারত। দুঃস্মৃতিটা ভুলতে পারেননি নেপালের স্ট্রাইকার অনু লামা। টুর্নামেন্টে ১১ গোলের মালিকের চোখেমুখে ছড়িয়ে ছিল সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা।
দুই দল এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে। নেপালের সামনে সমতায় ফেরার সুযোগ, ভারতের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার। আজকের ম্যাচে আলাদাভাবে লড়াই জমতে পারে সাসমিতার সঙ্গে অনু লামারও। স্বাগতিক বাংলাদেশ নেই, কিন্তু দর্শকেরা দুই সেরা দলের লড়াই থেকে নিশ্চয়ই খুঁজবে উত্তেজনায় ঠাসা প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

No comments

Powered by Blogger.