আইভরি কোস্টে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে

বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইভরি কোস্টে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। এ ব্যাপারে সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আলাসেন ওয়েতাহাকে জয়ী বলে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবো সে দেশে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। একই দিন ওয়েতাহার শিবির থেকে বলা হয়, বাগবো বিশ্বের সঙ্গে চালাকি করছেন। তাঁকে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ছেড়ে যেতে হবে। এর আগে বাগবো গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পুনরায় পরীক্ষা করে দেখার জন্য আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের আহবান জানান।মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় বান কি মুন বলেন, আইভরি কোস্টে দায়িত্ব পালনরত ১০ হাজার শান্তিরক্ষী নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। বাগবোর অনুগত সেনারা তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে। এ ছাড়া ওয়েতাহার নিরাপত্তায় মোতায়েন ৮০০ শান্তিরক্ষীকে তারা অবরোধ করে রেখেছে। প্রসঙ্গত, সেনাদের এক পক্ষের সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্র ধরে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে আইভরি কোস্টে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০০৪ এর অবসান ঘটে।ওয়েতাহা এখন আবিদজানের গলফ হোটেলে অবস্থান করছেন। ওই হোটেলে নিজের সদর দপ্তর স্থাপন করেছেন তিনি। বাগবোর অনুগত সেনারা সেখানে জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছাতে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বান কি মুন বলেন, ‘জীবন ধারণের রসদ ও অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছাতে বাধা দেওয়ায় আগামী দিনগুলোয় শান্তিরক্ষীরা জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছি।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশ যাদের সে রকম সামর্থ্য আছে, আইভরি কোস্টের শান্তিরক্ষীদের সহায়তা করতে তাদের প্রতি জোরালো আবেদন জানাচ্ছি।’
এর আগে বাগবোর একজন মিত্র সতর্ক করে দেন, শান্তিরক্ষীরা সে দেশ ছেড়ে না গেলে তাদের বিদ্রোহী বলে গণ্য করা হবে। এর মধ্যে টিভিতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সমন্বয়ে গড়া একটি প্যানেল নির্বাচনের ফলাফল খতিয়ে দেখতে পারে। তিনি আরও বলেন, গলফ হোটেল ছেড়ে ওয়েতাহা যেখানে খুশি চলে যেতে পারেন।
ওয়েতাহার মুখপাত্র অ্যান উলোতো বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাগবোর পুনর্নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দেওয়ার পর থেকে তিনি বিশ্বের সঙ্গে চালাকি করে যাচ্ছেন।
নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে বৈধ বলে দাবি করে আসছেন বাগবো। বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দার পরও তিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।

No comments

Powered by Blogger.