ইরানের কথাও ভাবছেন ম্যারাডোনা

ডিয়েগো ম্যারাডোনা—এ নামটিই যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। তাঁকে ঘিরে থাকে এক ধরনের রহস্যের জাল। ম্যারাডোনাই সেই জাল ছড়িয়ে রাখতে ভালোবাসেন।
এই যেমন এখন গুঞ্জন চলছে ম্যারাডোনা কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কোন দলের, তা নিয়ে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল মস্তিষ্কটি যে তাঁর, এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। সমস্যা হলো ম্যারাডোনা একটু খেপাটে স্বভাবের বলেই পরিচিত। সেটা না হলে তাঁর বাড়ির দরজায় শীর্ষ দলগুলোর কর্তাব্যক্তিদের লাইন পড়ে যেত ম্যারাডোনাকে কোচ বানানোর জন্য।
এখনো আগ্রহের কমতি নেই। চীনের এক ক্লাব তো তাঁকে প্রস্তাব দিয়েই বসে আছে। যদিও ম্যারাডোনা এখন এতটা অখ্যাত দলের দায়িত্ব নিতে রাজি নন। বাতাসে গুঞ্জন ইরানের কোচ হওয়া নিয়েও। সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা সাফল্য না থাকলেও দল হিসেবে ইরান কিন্তু এখনো এশিয়ার পরাশক্তি। তিনবারের বিশ্বকাপ খেলা দলটি এশিয়ান কাপও জিতেছে তিনবার।
চীন সফরের পর ম্যারাডোনার ইরান সফর নির্ধারিত হয়ে আছে। সেটার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও এটা জানা গেছে, ওই সফরে শুধু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন ম্যারাডোনা। কিন্তু এই গুঞ্জনও একই সঙ্গে চলছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের কোচ হওয়ার জন্য ম্যারাডোনাকে প্রস্তাব দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ‘বন্ধু’ আহমাদিনেজাদের প্রস্তাবে ‘না’ বলে দেওয়া ম্যারাডোনার পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে।
চীনা রেডক্রসের আমন্ত্রণে এশিয়ারই আরেক দেশে সফর করতে থাকা ম্যারাডোনার কাছেও ছুটে যাচ্ছে ইরানসংক্রান্ত প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে চীনে ম্যারাডোনার মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা ট্যাং কিনঘুইয়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। কৌতূহল মেটাতে ট্যাং যে জবাব দিলেন, তাতে কৌতূহল বাড়ল বৈ কমল না। ‘আমিও তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি ইরানের কোচ হচ্ছেন। জবাবে তিনি শুধু হেসেছেন।’ এই হাসিটাই ধন্দে ফেলে দিয়েছে সাংবাদিকদের। এর আগে সরাসরি প্রশ্নটার উত্তরে না-ই এসেছে। ম্যারাডোনার এই হাসির অর্থ কি তবে তিনি পদটি নিয়ে ভাবছেন!

No comments

Powered by Blogger.