‘বেড়াতে’ আসেনি জর্ডানের মেয়েরা

ফটোসাংবাদিকেরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় রইলেন ছবি তোলার জন্য। জর্ডানের মেয়েরা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের বাছাইপর্বে খেলতে এই প্রথম বাংলাদেশের মাটিতে এসেছে—ছবি তো প্রার্থিতই।
মুসলিম দেশ জর্ডানের মেয়েরা কীভাবে ফুটবল খেলে? কেমন খেলে? আগামীকাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান ও জর্ডানকে নিয়ে শুরু টুর্নামেন্টে মিটবে এই কৌতূহল। তবে কাল ঢাকায় নেমে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসা দলটি প্রথম দর্শনেই চোখ কেড়েছে।
জর্ডান যুব মহিলা ফুটবল দলের কয়েকজন খেলোয়াড় দীর্ঘদেহী। মাঝারি উচ্চতার বেশ কয়েকজন। বাংলাদেশের মেয়েদের গড়পড়তা উচ্চতা যেমন, সে রকমও আছে কয়েকজন। তবে উচ্চতায় সবাই সমান না হলেও শারীরিকভাবে সবাই শক্ত-সমর্থ। শুটিং, রানিং, বল নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালো।
সবচেয়ে বেশি চোখ কেড়েছে দলটির ব্যবস্থাপনা। দলের সঙ্গে কোচ আছেন তিন-চারজন। ১৯ খেলোয়াড়ের সঙ্গে এসেছে কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বড় বহর। তবে তারা যে স্রেফ বেড়াতে আসেনি, ভালো করেই তা বোঝা গেছে দলের সঙ্গে প্রত্যেকেরই একাত্মতা দেখে।
প্রধান কোচ মেহের আবু হানতাস জানান, ২০০৬ সালে এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলে জর্ডান বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিল। এবারও তেমন আশাবাদী হানতাস বলে দিলেন, ‘আমরা কিন্তু এখানে বেড়াতে আসিনি!’

No comments

Powered by Blogger.