বিশ্ব শুল্ক সংস্থার সহায়তা পেতে এ মাসেই ইচ্ছেপত্রে স্বাক্ষর হবে

বাংলাদেশের শুল্ক বিভাগের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্ব শুল্ক সংস্থার (ডব্লিউসিও) সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী সপ্তাহে একটি ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করবে। ইচ্ছেপত্রে সই করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা নেওয়া হবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন পক্ষ উপকৃত হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় আয়োজিত ‘শুল্ক ও বাণিজ্য: অংশীদারির মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে শুল্ক বিভাগকে সুষমকরণ, যুগোপযোগী ও দ্রুত সেবা প্রদান করতেই এই ইচ্ছেপত্রে সই করা হবে। খবর ইউএনবির।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শুল্ক বিভাগের উপকমিশনার জহিরুল কাইয়ুম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) হুসাইন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ডব্লিউসিওর মহাসচিব কুনিও মিকুরিয়াও বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এনবিআর প্রায় ৩০ বছর আগে ব্রাসেলসে একটি অফিস স্থাপন করেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের শুল্ক বিভাগের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে ডব্লিউসিও সহায়তা দিতে আগ্রহী। আমরা তাদের সহযোগিতা গ্রহণ করতে আগ্রহী।’ তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ ডব্লিউসিওর সদস্য, কিন্তু ইচ্ছেপত্রে সই না করায় এখনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
ডব্লিউসিওর মহাসচিব কুনিও মিকুরিয়া বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের শুল্ক বিভাগের দক্ষতা বাড়াতে বিশ্ব শুল্ক সংস্থা সহায়তা দেবে। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়িক নেতাদের বাণিজ্য-সহায়কের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, শুল্ক বিভাগ ও ব্যবসায়ীরা একে অপরের সহায়তার মাধ্যমে উভয়ই উপকৃত হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশির ভাগ দেশ ডব্লিউসিওর সঙ্গে ইচ্ছাপত্রে সই করেছে। বাংলাদেশ এই ইচ্ছেপত্রে সই করার পর ডব্লিউসিওর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শুল্ক বিভাগের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করার কাজ শুরু করবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, প্রতিনিধিদল ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও মংলা শুল্ক ভবনের ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে। উন্নয়ন-সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিশেষজ্ঞরা শুল্ক বিভাগের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ জন্য তাঁরা অর্থায়ন ও বিনিয়োগে উন্নয়ন-সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
নাসিরউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শুল্ক ভবনগুলোকে যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.