মোহামেডানকে জেতালেন বুকোলা

এই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে বাংলাদেশ লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা প্রায় শেষ হয়ে যেত ঢাকা মোহামেডানের। সাদা-কালোদের জন্য সুখবরই—পুরো পয়েন্ট নিয়ে তারা ঢাকা ফিরছে। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে এই জয় এসেছে ৩-১ গোলে।
আগের দুবারও চট্টগ্রামে এসে স্থানীয় আবাহনীকে হারিয়েছিল ঢাকা মোহামেডান। ব্যবধানও ছিল বড়। সর্বশেষ জয়ে তিন গোলের দুটি ছিল বুকোলার। এই ম্যাচেও তাই।
৩৬ মিনিটে বক্সের ভেতরে বাঁ প্রান্ত থেকে বুকোলা বল ঠেলেন জাহিদ হাসানকে (এমিলি)। আগের ম্যাচে ৫ গোল করে গোলের রাস্তাটা আবার যখন চিনতে শুরু করেছেন এমিলি, এই সুযোগ আর নষ্ট করেননি তিনি! তাঁর প্লেসিংয়ে ১-০।
মোহামেডান গোল করার আগেই অবশ্য গোল পেতে পারত আবাহনী। ২৮ মিনিটে থ্রু পাসে বল পেয়ে মিঠুন বক্সে ঢুকে পড়েন। গোলরক্ষক আমিনুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কোনো রকমে মিঠুনের শটটি আটকে দেন। ফিরতি বলে মিঠুন আবারও শট নিলে গোললাইন থেকে আরিফ বাঁচিয়ে দেন কর্নারের বিনিময়ে।
প্রথমার্ধের মিনিটখানেক আগে ওয়ালি ফয়সালের ফ্রি-কিক বুকোলার মাথা ছুঁয়ে জালে জড়ালে মোহামেডান শিবির কিছুটা ভারমুক্ত হয় (২-০)। ৬৫ মিনিটে বুকোলার হেডে মোহামেডানের তৃতীয় গোল। তবে তাতে যত না বুকোলার কৃতিত্ব তার চেয়েও বেশি বোকামি ছিল আবাহনীর গোলরক্ষক খালেদ আজম বিপ্লবের। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে তিনি বলের নাগাল হারিয়ে ফেলেন।
সে যা-ই হোক, মোহামেডানের জন্য স্বস্তির ব্যাপার, এমিলি-বুকোলা জুটি গোলে ফিরেছে। মাঝে তাঁরা গোল-খরায় ভুগেছেন। যার ফলে দলকে পয়েন্ট হারাতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছিল আবাহনী। ৫৩ মিনিটে মিঠুনের পাস থেকে শাখাওয়াত হোসেন প্লেসিং শটে আবাহনীর একমাত্র গোলটি করেন।
১৭ ম্যাচে মোহামেডানের পয়েন্ট হলো ৪৫। সমান ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর ৪৯, চট্টগ্রাম আবাহনীর

No comments

Powered by Blogger.