ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠি ও প্রশ্ন

‘উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ভ্যাঙ্কুভারে প্যারা অলিম্পিক শীতকালীন গেমস ১২-২১ মার্চ ২০১০-এ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছে কি না সে সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. ওবায়দুল হক ৭ এপ্রিল এ চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও সিইও কর্নেল (অব.) ওয়ালীউল্লাহকে। উত্তরে ওয়ালীউল্লাহ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো প্রতিনিধি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে গিয়েছেন কি না, বিওএর তা জানা নেই; বিওএর মাধ্যমে যাওয়ার কথাও নয়। এটা প্যারা অলিম্পিক কমিটির ব্যাপার।
তাহলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কোন অভিযোগে এ চিঠি দিয়েছে বিওএকে? জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের কথা, ‘অন্য একটা ফাইল সম্পর্কে জানতেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ সম্পূরক প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘অফিশিয়াল সিক্রেট ব্যাপার। অভিযোগ পেয়েছি, পাঠিয়ে দিয়েছি।’ পাশাপাশি বলেছেন, ‘শীতকালীন প্যারা অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে কেউ যাওয়ার কথা নয়।’
কথা নয়, কারণ—ভ্যাঙ্কুভারে যে পাঁচটি খেলা হয়েছে (আল্পাইন স্কিইং, আইস স্লেজ, বায়াথন, ক্রস কান্ট্রি স্কিইং ও হুইল চেয়ার কার্লিং), এ খেলাগুলো বাংলাদেশে হয় না। হলেও বাংলাদেশে কোনো অনুমোদিত প্যারা অলিম্পিক কমিটি নেই, যারা গেমসে দল পাঠাতে পারে। তাহলে গেমসে দল গেল কি না, সে ব্যাপারে কেন জানতে চাইল মন্ত্রণালয়? প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসছেই।
জানা গেছে, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ২৩ সদস্যের ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক কমিটি অব বাংলাদেশ নামে একটি প্রস্তাবিত নির্বাহী কমিটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা পড়েছে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় পরিষদ এখনো ওই কমিটি অনুমোদন করেনি। প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) ইয়াদ আলী ফকির বলেন, ‘প্যারা অলিম্পিকে কেউ গিয়েছেন কি না, আমার জানা নেই।’
তবে ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন, শীতকালীন প্যারা অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার নামে বাংলাদেশ থেকে একটি দল গেছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে লোক পাঠিয়ে একটি মহল বিরাট অঙ্কের টাকা কামিয়ে নিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনকে ব্যবহার করে ‘আদম পাচারের’ আরেকটি উদাহরণ হিসেবেই একে দেখা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.