অনুশীলন ঘাটতিকেই দায়ী করলেন মারুফ

ড্রেসিংরুমের এক কোনায় পাওয়া গেল মারুফুল হককে। হতাশ-বিষণ্ন। একটু আগে ফরাশগঞ্জের সঙ্গে ড্রয়ে পেশাদার ফুটবল লিগের শিরোপার আশা যেন শেষ হয়ে গেছে বলেই ধরে নিয়েছেন মোহামেডান কোচ। সে জন্যই হয়তো বলে দিলেন, ‘কোনো সম্ভাবনা নেই আর।’
আবাহনীর চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে। ম্যাচ বাকি পাঁচটি। কাগজ-কলমে সম্ভাবনা বেঁচে থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে আবাহনীকে পেছনে ফেলা অবাস্তব মনে হচ্ছে মারুফের কাছে, ‘আবাহনী পয়েন্ট হারাবে আর আমরা লড়াইয়ে ফিরে আসব—এ রকম চিন্তাই করতে পারছি না। ওরা কি আর এই সুযোগ ছাড়বে?’
মোহামেডান কোচ তাঁর দলের এই দুর্দশার জন্য দায়ী করলেন অনুশীলন ঘাটতিকে, ‘গত ২৩ তারিখের পর আর অনুশীলন হয়নি। ২৪ তারিখ ম্যাচ খেলার পরদিন বিশ্রাম ছিল। আজ আবার খেললাম।’ কেন অনুশীলন হয়নি সেটা তিনি খুলে বলেননি। ‘পরে বলব’ বলে অপেক্ষায় রাখলেন।
বেতন না পেয়ে বিদেশিরা বিদ্রোহ করার পর স্থানীয় খেলোয়াড়েরা বিদ্রোহ করেছেন। গত এক সপ্তাহ সিরিয়াস অনুশীলন না হওয়ায় খেলোয়াড়দের ফিটনেসে ঘাটতি ছিল। এসব কারণে কোচ মারুফ ক্ষুব্ধ। শিরোপা জিততে পারবেন না ধরে নিয়ে আগেই এক প্রশ্নে বলে দিলেন, ‘গতবার আমি ব্যর্থতার দায় নিয়েছি। এবার নেব না। এবার আমার অনেক কিছু বলার আছে।’
দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে ড্র করার কারণটা বললেন মোহামেডান কোচ, ‘মাঝমাঠ ভেঙে পড়েছিল। রক্ষণ ছিল অগোছালো। আমরা ওদের (ফরাশগঞ্জ) গোল করার সুযোগ করে দিয়েছি। আমাদেরই ব্যর্থতা।’
গোলরক্ষক আমিনুল সব দায় নিজেদের কাঁধেই নিলেন, ‘আমরা দুই গোলের পর বাজে ফুটবল খেলেছি। নির্ভার হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের কাছে লোকে এমন ফুটবল আশা করে না।’
নিস্তব্ধ ড্রেসিংরুমে আর সবার মতো মাথা নিচু ছিল অধিনায়ক আরমান আজিজের। বললেন, ‘আমাদেরই দোষ। আমরা কেন ওভাবে নির্ভার হয়ে যাই!’

No comments

Powered by Blogger.