কৃষির নিয়মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতে ঋণ দেওয়ার আহ্বান

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কৃষির উপখাত হলেও এর সঙ্গে এই খাতের বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। সে জন্য কৃষি খাতের মতো একই হারে ও নিয়মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতে ঋণসুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।
বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এ কথা বলেন। মৎস্যজীবী, পোলট্রি ও ডেইরি উপখাতের প্রান্তিক খামারিদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে দুই লাখেরও বেশি জেলে রয়েছেন। যাঁরা একদিকে চড়া সুদে মহাজন ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছেন, অন্যদিকে ওই সব ঋণদাতার কাছে আবার কম মূল্যে মাছ বিক্রি করতেও বাধ্য হচ্ছেন। তাই প্রান্তিক জেলেদেরও কৃষকদের মতো একই নিয়মে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো কৃষির চেয়ে ১ থেকে ৩ শতাংশ বেশি সুদে এই উপখাতটিতে ঋণ দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সভায় এ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শরফুল আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে চিংড়িচাষিদের জন্য তৈরি করা একটি গাইড বুক বা নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশিকা তৈরি হয়। ইউনিডো ও ইইউর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় মৎস্য অধিদপ্তর এ নির্দেশিকা তৈরি করে।

No comments

Powered by Blogger.