মিসর-আলজেরিয়ার ভাগ্য এখন প্লে-অফে

শেষ হইয়াও হইল না শেষ।’ আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এখন এই অবস্থা। পরশু ছিল আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের শেষ দিন। কিন্তু তা আর শেষ হলো কই? মিসর আলজেরিয়ার বিপক্ষে তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে লড়াইটাকে নিয়ে গেল প্লে-অফে।
নিজেদের মহাদেশে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আলজেরিয়ার বিপক্ষে যেসব শর্ত নিয়ে জিততে হতো, মিসর ঠিক সেভাবেই জিতল। দুদলের পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধান দুটোই এখন সমান। তাই এই গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে কোন দেশ খেলবে, তা ঠিক হবে প্লে-অফের মাধ্যমে। আর এক ম্যাচের এই প্লে-অফে আগামী পরশু দুদল মুখোমুখি হবে সুদানে।
কায়রোতে প্রায় ৭৫ হাজার দর্শককে আনন্দে ভাসিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মিসরকে এগিয়ে দেন আমর জাকি। তবে ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে (৯০+৫) তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা গোলটি আসে ‘সুপার-সাব’ এমাদ মেতেয়াবের পা থেকে। ৬৫ মিনিটে জাকির বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
মিসর-আলজেরিয়ার ভাগ্য ঝুলে থাকলেও পেলের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য করে নিজেদের মহাদেশের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ‘সুপার ইগল’ নাইজেরিয়া। বাছাইপর্বে নাইজেরিয়ার সঙ্গিন অবস্থায় উঠে গিয়েছিল একটা হাহাকার। ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে তখন বলেছিলেন, ২০১০ বিশ্বকাপে ঠিকই জায়গা করে নেবে আফ্রিকার এই ফুটবল পরাশক্তি।
পেলের কথা রাখতেই কিনা কেনিয়ার বিপক্ষে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে ৩ মিনিটের মধ্যে (৬২ ও ৬৫) দুই গোল করে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। এই গোল দুটির একটি করেছেন ওবাফেমি মার্টিনস এবং অন্যটি আইয়েগবেনি ইয়াকুবু। মার্টিনস পরে করেছেন আরেক গোল এবং কেনিয়ার বিপক্ষে নাইজেরিয়া জিতেছে ৩-২ গোলে। বিশ্বকাপে উঠে গেছে স্যামুয়েল ইতোর দল ক্যামেরুনও। মরক্কোর মাঠে ইতো আর অ্যাচিলে ওয়েবোর গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় তাদের তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে।
আফ্রিকা থেকে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে ঘানা ও আইভরি কোস্ট। আর স্বাগতিক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা তো খেলছেই।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দেশ উরুগুয়ে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশ কোস্টারিকার বিপক্ষে প্লে-অফের প্রথম লেগটি জিতেছে ১-০ গোলে।

No comments

Powered by Blogger.