আরও টেস্ট খেলতে চাই

টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির মধ্যে ২০১২ সাল-পরবর্তী ভবিষ্যত্ সফর কর্মসূচিতে (এফটিপি) টেস্ট ম্যাচের জায়গা করতে অনেক ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে। তবে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা সমস্বরে আওয়াজ তুলছেন, সুযোগ দিতে হবে বেশি করে টেস্ট খেলার।
আগের দিন মুম্বাইয়ে এই কথা বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। কাল শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাও আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ দাবি করলেন, ‘এটা সত্যি খুব পরিতাপের ব্যাপার, আমরা টেস্ট ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’ ভারত-শ্রীলঙ্কা তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে আজ আহমেদাবাদে। এই টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক বললেন এই টেস্ট-বঞ্চনার কথা, ‘আমাদের দলের তরুণেরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো করার জন্য ব্যাকুল। আর সর্বোচ্চ পর্যায় মানেই তো টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু সেটি তারা তেমন পাচ্ছেই না।’
আগামী বছরে শ্রীলঙ্কার নির্ধারিত টেস্ট সিরিজ মাত্র একটা—নভেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এতে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১০০০ টেস্ট উইকেট পাওয়ার স্বপ্নটাকে পরিত্যাগই করতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ ৭৮৩ টেস্ট উইকেটের মালিকের বয়স চলছে ৩৭, এরই মধ্যে তিনি বলে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে এই সিরিজটাই তাঁর শেষ। এটা খেলেই অবসর নেবেন। স্পিন জাদুকরের ১০০০ টেস্ট উইকেট পাওয়ার স্বপ্নটা পূরণ আর তাই হচ্ছে না! টেস্ট ম্যাচের এই আকালে বাস্তবতাকে মেনেই নিয়েছেন তিনি, ‘একটা সময় আমার মনে হয়েছিল, এটির পেছনে আমি ছুটতেই পারি। কিন্তু এ জন্য আমাদের দরকার ছিল আরও বেশি টেস্ট খেলা, কিন্তু সেটি তো আর হচ্ছে না।’
জিম্বাবুয়ে অনেক দিনই টেস্ট ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত। আইসিসি তাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথা ভাবছে বাকি ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে নিয়ে। তবে ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা যা-ই হোক, ক্রিকেটারদের চাহিদাটা স্পষ্টই বলে দিয়েছেন সাঙ্গাকারা, ‘প্রতিটি দেশের জন্য বছরে ৮-১০টি টেস্ট খেলা হলো আদর্শ। ওটা নিয়েই কাজ করতে হবে আগে।’
টেস্টের সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকারের কথা ভাবলেই তো টেস্টের জন্য আর্তিটা আরও বেশি করে বোঝা যায়। টেন্ডুলকার তাঁর সর্বশেষ টেস্ট সিরিজটা খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেই মার্চ-এপ্রিলে। তারপর আবার টেস্টে নামছেন আজ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ‘আমাদের অবশ্যই বেশি করে টেস্ট খেলতে হবে। এই (২০০৯-১০) মৌসুমে আমরা মাত্র পাঁচটি টেস্ট খেলেছি, এটা তো ভালো কথা নয়। একটা দল যত বেশি টেস্ট খেলবে ততই পরিণত হবে, কারণ এটাই আসল ক্রিকেট’—বলেছেন টেন্ডুলকার। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ক্রিকেট সম্পর্কে টেন্ডুলকারের উপলব্ধি, ‘কখনো কখনো ম্যাচটা বুঝে ওঠার আগেই তো ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.