কোচ হয়ে শ্যুটিংয়ে থাকছেন রিংকি

শ্যুটিং আর না করারই ইচ্ছা তাঁর, তাই বলে শ্যুটিং জগেক একেবারেই বিদায় বলতে চান না সাইফুল আলম রিংকি। সম্প্রতি সাফ শ্যুটিংয়ে খেলেছেন ‘দেশের ডাকে’, এরপর কোচ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শ্যুটিং ফেডারেশনের কাছে। সেই আবেদনের ফাইল চাপা পড়ে আছে, কোচ নিয়োগ-সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ না পাওয়ায় ফেডারেশন নাকি তাঁকে নিয়োগ দিতে পারছে না! রিংকি ও বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ের জন্য জন্য ভালো খবরই বলতে হবে, তাঁকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে এ-সংক্রান্ত কমিটির সামনে থাকা বাধাটা নাকি দূর হয়েছে।
দুই সাবেক শ্যুটার আতিকুর রহমান ও কাজী শাহানা পারভীনকে কীভাবে কোচিংয়ের সঙ্গে রাখা হবে, সে সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকাই ছিল ওই বাধা। অন্তত কর্মকর্তাদের দাবি এমনই। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আতিক-শাহানাকে কিছুদিন আগে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর নির্বাহী কমিটিতে তাঁদের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কমিটির সদস্য থাকলে কোচ হওয়া যায় না, এটাই গঠনতন্ত্রের নিয়ম। পরে দুজনই নির্বাহী কমিটিতে থাকতেই বেশি আগ্রহ দেখান। শেষ পর্যন্ত দুই কূলই রক্ষা হচ্ছে, আতিক-শাহানাকে কোচ থেকে ‘কোচিং উপদেষ্টা’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে পরশু অনুষ্ঠিত শ্যুটিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভায়। দুজনকেই মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে, ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যপদও থাকবে। গতকাল থেকেই নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এ দুজন। ঈদের আগেই একজন দক্ষিণ কোরিয়ান কোচও চলে আসছেন।
বাইরে থেকে এসব দেখে হতাশই হয়ে পড়েছেন রিংকি। বিকেএসপিতে শ্যুটারদের ক্যাম্পে খেলোয়াড় হিসেবে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই তাঁর। ‘আলোচনা সাপেক্ষে কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলে শ্যুটিংয়ে থাকা হবে, নইলে আর যাব না ওখানে’—কাল নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে ফোনে বললেন দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে ৫টি সোনাজয়ী রিংকি। কোচ নিয়োগ কমিটির প্রধান আবদুল করিম জানালেন, ‘আতিক-শাহানার ব্যাপারটা সুরাহা হওয়ায় এখন রিংকির ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে নির্বাহী কমিটিকে।’

No comments

Powered by Blogger.