ইফতার অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানেরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পরিচিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মুসলমানেরা তাঁদের কর্মের মধ্য দিয়ে মার্কিন সমাজকে সমৃদ্ধ করছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিত্সা এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানেরা শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিচ্ছেন। মেধায়, নৈপুণ্যে এবং উত্তম প্রতিবেশী হিসেবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আজ মুসলমানেরা পরিচিত।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ওবামা এসব কথা বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত আট বছরের ধারাবাহিকতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বছরও হোয়াইট হাউসে ইফতারের আয়োজন করেন। এতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুজন মুসলমান কংগ্রেসম্যান কিথ এলিসন ও অ্যান্ড্রি কারসন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিত মুসলমান অতিথিদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, পবিত্র রমজান মাসের প্রধান শিক্ষাই হচ্ছে আত্মত্যাগ এবং একাগ্রতা। হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় পানশালায় জনাকীর্ণ ইফতার আয়োজনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ কয়েকজন আমন্ত্রিত মুসলমান ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেন। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, একাগ্রতা এবং শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়ে উজ্জ্বল আমেরিকান মুসলমান মোহাম্মদ আলী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মোহাম্মদ আলী এ ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। মুসলমান তরুণী বিলকিস আবদুল কাদিরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, বিলকিস শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনুপ্রেরণার। উল্লেখ্য, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মেমফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বিলকিস বাস্কেটবলে নৈপুণ্যের রেকর্ড সৃষ্টি করে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা মার্কিন কংগ্রেসের দুজন মুসলমান সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাঁদের প্রশংসা করেন।
রমজান মাস উপলক্ষে আট বছর ধরে হোয়াইট হাউসে ইফতারের আয়োজন হয়ে আসছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত প্রথম এ ইফতার আয়োজনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন মার্কিন মুসলমানেরা। মুসলমানদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে। কৈশোরে মায়ের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার মুসলমান পরিবেশে বেশ কিছুদিন ছিলেন বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। গত জুন মাসে কায়রোতে দেওয়া বক্তৃতায় ওবামা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনো মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।

No comments

Powered by Blogger.