রেকর্ড ভাঙাগড়ায় ভাঙল পাকিস্তানও

মাহেলা জয়াবর্ধনেঃদুই বছর পর ওয়ানডে সেঞ্ছুরি
খেলা শুরুর আগে গোল হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোটা রেওয়াজ। পাকিস্তান দল নিয়মিতই সেটা করে। কালও শ্রীলঙ্কার ইনিংস শুরুর আগে অধিনায়ক ইউনুস খানকে মাঝখানে রেখে একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়ালেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। কী যেন বলছিলেন ইউনুস। ২৮৮ এই মাঠের সর্বোচ্চ স্কোর—এটাই কি?
ইউনুসের বলা কথাটা ১৯৫ মিনিট পরই মিথ্যা হয়ে গেছে। এই মাঠে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা পরের ইনিংসেই ভেঙে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২৮৯ রানের লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে গেছে হাতে ৬ উইকেট রেখে। ২ ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজটাও। অথচ এই ডাম্বুলাই লো স্কোরিং ম্যাচের জন্য বিখ্যাত!
এর আগে ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামের মাত্র ৫টি ইনিংস ছিল আড়াই শ পেরোনো। আর তাই টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান যখন ৫ বছর আগে শ্রীলঙ্কার তোলা ২৮২ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটি টপকে গেল, তখনি ম্যাচের ভাগ্য দেখে ফেলেছেন কেউ কেউ। ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান যে শেষ পর্যন্ত এত বড় স্কোর গড়ল তাতে মূল অবদান আগের ম্যাচে অভিষিক্ত উমর আকমলের ৬৫ বলে ৬৬ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ এসেছে আকমল ভাইদের বড় জনের ব্যাট থেকে। যদিও শেষ দিকে দুই আইসিএল-ফেরত রাজ্জাক আর রানা নাভিদের দুটো ৩০ রানের ইনিংসই পাকিস্তানকে এনে দিয়েছিল সফরে প্রথম কোনো জয়ের আশা।
সেটি দুমড়েমুচড়ে গেছে মূলত জয়াবর্ধনের ব্যাটে। এর আগে ওয়ানডেতে একবারই ওপেন করেছিলেন। তাতে শূন্য হাতে ফেরায় আর কখনো ও পথ মাড়াননি। কাল সেই ওপেনারের ভূমিকাতেই নেমে দারুণ সফল জয়াবর্ধনে। ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরিটি এল দুই বছর পর। ওপেনিংয়ে ২০২ রানের জুটিও গড়েছেন। সঙ্গী ছিলেন উপুল থারাঙ্গা, ওপেনিংয়ের রেকর্ড জুটির অংশীদার যিনি। জয়াসুরিয়ার সঙ্গে থারাঙ্গার ২৮৬ রানের সেই জুটি না ভাঙলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং পার্টনারশিপের নতুন রেকর্ড হয়েছে কাল। থারাঙ্গা আউট হয়েছেন ৭৬ রান করে। ২০২ থেকে ২১২-র মধ্যে ৩টা উইকেট হারিয়েও ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পাকিস্তান যে জিতবে না বলেই পণ করেছে এই সফরে! ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৮৮/৮ (উমর আকমল ৬৬, কামরান আকমল ৪৫, ইউনুস ৪৪, আফ্রিদি ৩২, রাজ্জাক ৩০, রানা নাভিদ ৩০, মালিক ১২; ম্যাথুস ২/৪১, মুরালিধরন ২/৬৪)।
শ্রীলঙ্কা: ৪৬.৩ ওভারে ২৮৯/৪ (জয়াবর্ধনে ১২৩, থারাঙ্গা ৭৬, সাঙ্গাকারা ৩৭*; আজমল ২/৫৪, রাজ্জাক ১/৬২, আমির ১/৪৫)। ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: মাহেলা জয়াবর্ধনে।

No comments

Powered by Blogger.