জেরুজালেমে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, বন্দি মুক্তির চুক্তি দাবি
ওদিকে ইসরাইলের ভেতরে প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবুও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় আরও আক্রমণ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেতানিয়াহুর সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গাজা উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং হামাসকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শনিবার রাতে তেল আবিব ও জেরুজালেমে সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নেতানিয়াহুর জেরুজালেমের বাসভবনের কাছেই বক্তারা একের পর এক আহ্বান জানান, অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে প্রিয়জনদের ফেরত আনতে। মাতান আংগ্রেস্ট নামে গাজায় আটক এক আইডিএফ সেনার মা আনাত আংগ্রেস্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি হুমকি নয়, প্রধানমন্ত্রী। আমার সন্তানের কিছু হলে আপনাকে এর জবাব দিতে হবেÑ এটি এক মায়ের কথা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ সম্প্রসারণ বন্দিদের জীবন আরও বিপন্ন করছে। কিন্তু নেতানিয়াহু তা উপেক্ষা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক সাবেক সামরিক নেতা প্রকাশ্যে বলছেন, গাজায় সামরিকভাবে এর বেশি কিছু অর্জন সম্ভব নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ সম্প্রতি গাজা সিটির বহুতল ভবন ধ্বংসের ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি বার্তা দিয়েছেন, এটি কেবল শুরু। ওদিকে রোববারও আইডিএফ একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দাবি করে, সেখানে হামাসের গোয়েন্দা সরঞ্জাম ছিল। অন্যদিকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এসব ভবনে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক মহল বারবার ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু কোনো কথায় কর্ণপাত করছে না নেতানিয়াহু।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন জেরুজালেমে গিয়ে বলেন, আমরা গাজার মানবিক বিপর্যয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই ইসরাইলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। তবে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর সতর্ক করে বলেন, ইউরোপের কিছু দেশ যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তবে তা গুরুতর পরিণতি ডেকে আনবে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণের প্রশ্নে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হতে পারে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একই সময়ে দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনটি শিশু।

No comments