গাজা নিয়ে প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটরের শাস্তি: সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে ইসরাইলের প্রতি এএফপির আহ্বান
সিনেট প্রেসিডেন্ট সু লাইনস বলেন, সিনেটর ফারুকি জেনেশুনে সংসদের নীতিমালা ভেঙে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে সাইন ব্যবহার করেছেন। এতে গভর্নর-জেনারেল, প্রধান বিচারপতি ও ডেপুটি বিচারপতিকে রাজনৈতিক বিতর্কে টেনে আনা হয়েছে, যা অত্যন্ত অনুপযুক্ত। অস্ট্রেলিয়ান সরকার সোমবার ২৫টি দেশের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করে, যেখানে ইসরাইলকে আহ্বান জানানো হয় গাজায় ত্রাণ প্রবাহের ওপর আরোপিত সব বিধিনিষেধ অবিলম্বে তুলে নিতে।
গাজা থেকে সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে ইসরাইলের প্রতি এএফপির আহ্বান
ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজায় থাকা তাদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের অবিলম্বে সরিয়ে নিতে সহায়তা করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে সাংবাদিকরা ‘অসহনীয়’ এবং ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতির মুখে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। এএফপি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, কয়েক মাস ধরে আমরা অসহায়ভাবে দেখছি, আমাদের সহকর্মীদের জীবনযাত্রার অবস্থা নাটকীয়ভাবে অবনতি ঘটছে। তাদের সাহস, পেশাদারিত্ব ও দৃঢ়তার পরও পরিস্থিতি এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এএফপি জানায়, গাজায় কাজ করা ফিলিস্তিনি ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে ‘বিশ্বকে সত্য জানাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু এখন তাদের জীবন হুমকির মুখে। এএফপি কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে নিরপেক্ষ সাংবাদিক সংগঠন সোসাইটি অব জার্নালিস্টস। সোমবার তারা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় থাকা তাদের সহকর্মীরা অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সংগঠনটি জানায়, যেকোনো মুহূর্তে তাদের মৃত্যুর খবর শোনার ভয় আমাদের তাড়া করে ফিরছে। আমরা এটা সহ্য করতে পারি না। প্রায় একাই তারা গাজা থেকে সত্য তথ্য তুলে ধরছেন। কারণ প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমরা চুপচাপ বসে তাদের মরতে দেখতে পারি না। সংগঠনটি ৩০ বছর বয়সী এক ফটোসাংবাদিকের (বাশার) উদাহরণ দেয়। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, আমার শরীর শুকিয়ে গেছে, কাজ করার মতো শক্তি নেই।
এএফপি বলে, ১৯৪৪ সালে এএফপি প্রতিষ্ঠার পর আমরা সংঘাতে সহকর্মী হারিয়েছি, আহত ও বন্দি হয়েছি। কিন্তু কখনও কোনো সহকর্মীকে ক্ষুধায় মরতে দেখিনি। আল জাজিরা বুধবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা সত্যের বাহক সাহসী সাংবাদিকদের বাঁচাতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়। আল জাজিরার মহাপরিচালক মোস্তেফা সোয়াগ বলেন, ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর জোরপূর্বক ক্ষুধা ও লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাযজ্ঞে যে সাংবাদিকরা কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের কণ্ঠস্বর বিশ্বে পৌঁছে দেয়া এবং এই অসহনীয় দুর্ভোগ শেষ করা আমাদের দায়িত্ব।
বৃটেনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামও সতর্ক করেছে যে, তাদের গাজায় কর্মরত স্টাফরাও ক্ষুধার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অক্সফামের নীতি বিষয়ক প্রধান বুশরা খালিদি আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের এক সহকর্মী শনিবার জানিয়েছেন, তিনি পানি ছাড়া, শুধু একটি ‘ফালাফেল’ খেয়ে কাজে গেছেন। তবু উপস্থিত থেকেছেন।

No comments