মৃত পোষ্যকে ফিরিয়ে আনতে বিপুল অর্থ ব্যয় করলেন চীনের এক নারী
নয় বছর বয়সে জোকারের ঘাড়ে ম্যালিগন্যান্ট সারকোমার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছিল। অ্যানেস্থেসিয়া সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকলেও সে যাত্রায় রেহাই পেয়ে যায় সে। কিন্তু পরের বছর কুকুরটির অবস্থার অবনতি ঘটে। হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে তীব্র কাশি, শ্বাসকষ্টর সমস্যা দেখা যায়। জোকারকে সুস্থ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মালিক জু। যদিও সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জোকার ২০২২ সালের নভেম্বরে ১১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সবচেয়ে কাছের বন্ধু তথা পোষ্যকে হারিয়ে হতাশা বাড়তে তাকে জু-য়ের। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন জু। অনিদ্রা, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ঘন ঘন অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনি। এরপরই প্রিয় পোষ্য জোকারকে কাছে পাওয়ার ভাবনা তার মাথায় আসে।
চীনে প্রাণীর ক্লোনিং প্রথা চালু রয়েছে। জু তার হারিয়ে যাওয়া পোষ্য জোকারের ক্লোনিং করার সিদ্ধান্ত নেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ক্লোনিংয়ের জন্য ১৬০,০০০ ইউয়ান টাকাও দিয়ে দেন তিনি । ক্লোনিং সংস্থা কবর খুঁড়ে জোকারের পেট এবং কানের ডগা থেকে প্রক্রিয়াটির জন্য একটি ছোট চামড়ার টুকরো নেয়। এক বছর পরে, জু একটি আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট পান। যা নিশ্চিত করেছিল যে, ক্লোনিং প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল নাগাদ, জু নতুন কুকুরটিকে বাড়িতে নিয়ে য়ান। তার নাম রাখেন 'লিটল জোকার'। জু'র মতে, জোকার এবং লিটল জোকার উভয়েরই নাকের কাছে একই রকম কালো দাগ রয়েছে এবং তাদের আচরণও প্রায় একই। জু বলেন, ‘আমি এখন এই ছোট্ট প্রাণটির যত্ন নিচ্ছি। যা আমাকে সাময়িকভাবে জোকারকে হারানোর যন্ত্রণা ভুলে যেতে সাহায্য করেছে।’
এই মিল থাকা সত্ত্বেও, জু স্বীকার করেছেন যে লিটল জোকার কখনই তার আদরের জোকারের জায়গা নিতে পারবে না। তিনি জোকারের স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখতে তার ছবি দিয়ে একটি নোটবুক তৈরি করেছিলেন। জু বলছেন, ‘জোকারের ক্ষেত্রে লালন-পালনের অভিজ্ঞতার অভাব ছিল এবং ফলে আমি অনেক অনুশোচনায় ভুগেছি। লিটল জোকার আমাকে সেই ভুল শুধরে নেবার সুযোগ করে দিয়েছে।’
সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস

No comments