ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি: আমি আপনার সঙ্গে আলোচনা করব না, যা ইচ্ছা করুন
এর আগে শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, তেহরানকে আলোচনার জন্য ধমক দেয়া চলবে না। পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে ইরানকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে ওই কথা বলেন খামেনি। বিশ্ব বাজার থেকে ইরানের অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোটায় পৌঁছে দিতে প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করেন ট্রাম্প। এরপর থেকে তার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের বরফ আর গলেনি। দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেও একই পথে হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলত দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গত শুক্রবার বলেছেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে ইরানের সঙ্গে দুটি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যার প্রথমটি হচ্ছে- সামরিক শক্তি (যুদ্ধ), অন্যটি হচ্ছে চুক্তি। দীর্ঘদিন থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ইরান। তবে তারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিশুদ্ধতার মান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি উল্লেখ করে সতর্ক করেছে আইএইএ। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে ৯০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়।
২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর এক বছর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তখন ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।

No comments