পশ্চিমতীরের ৪০০০০ অধিবাসীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত, ফেরার অনুমতি নেই

গাজায় যুদ্ধবিরতি। কিন্তু দখলিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের শরণার্থী থেকে কমপক্ষে ৪০ হাজার অধিবাসীকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তাদেরকে আর ফিরতে দেয়া হচ্ছে না। ২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো পশ্চিমতীরে ট্যাংক মোতায়েন করেছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। রোববার হিজবুল্লাহর প্রয়াত নেয়া হাসান নাসরাল্লাহর দাফন হওয়ার কথা। এদিনও লেবাননের আকাশে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছে। হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহর টার্গেটে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলে বলবেক এলাকা, দেশের দক্ষিণে আরো বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ওদিকে ইরান তার যুদ্ধবিমান প্রদর্শন করেছে। সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর মহড়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়,  শনিবার গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস ৬ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিপরীতে ইসরাইলের হাতে বন্দি থাকা ৬২০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই কথা রাখেননি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরবর্তী গ্রুপের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস নিশ্চয়তা না দেয়া পর্যন্ত তিনি ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া মুলতবি করেছেন। তার এ ভূমিকা চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির নগ্ন লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে হামাস। ওদিকে গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিসের হিসাবে এই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জন ফিলিস্তিনি। তারা বলছে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তারা মারা গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি।

ওদিকে হাসান নাসরাল্লাহকে দাফন অনুষ্ঠানে রাজধানী বৈরুত থেকে টেলিভিশনে বক্তব্য রাখেন হিজবুল্লাহর নেতা নাইম কাসেম। তিনি বলেন, প্রয়াত নেতা হাসান নাসরাল্লাহর পথ অনুসরণ করবে হিজবুল্লাহ। উল্লেখ্য, ওই দাফন অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম ঘটে। সেখানে নাইম কাসেম বলেন- আমরা এই পথচলা এবং বিশ্বাস সমুন্নত রাখবো। হাসান নাসরাল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার ইচ্ছাকে আমরা সমুন্নত রাখবো। এখনও আপনার সাথে আছি আমরা। আপনার দেখানো পথ, সংগ্রাম এখনও আমাদের সঙ্গে আছে। কিংবদন্তি নাসরাল্লাহর প্রতি আমি অনুগত। আমরা কোনো খুনি, দখলদারকে মেনে নেবো না। তিনি নাসরাল্লাহর দাফনে উপস্থিত জনতার সংখ্যার বিষয়ে বলেন, লেবাননের ইতিহাসে এত মানুষের সমাগম কখনো হয়নি। ওদিকে আরো যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শন করেছে ইরান। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই মহড়া চালায় সেনাবাহিনী। কারার ড্রোন অংশ নেয় এতে। তা থেকে আকাশ-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা চালানো হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশপথে আসা হুমকিকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। গত কয়েকদিনে ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হেলিকপ্টার থেকে সাবমেরিন বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আকাশপথে যুদ্ধবিমানের সঙ্গে কিভাবে যুদ্ধ করবে তার মহড়া করেছে। মোতায়েন করা হয় কয়েক শত ট্যাংক। সমুদ্রে প্রদর্শন করা হয় বিপুল পরিমাণ নৌযানের। এর মধ্যে আছে সাবমেরিন, ড্রোন। 

mzamin

No comments

Powered by Blogger.