যুবতীর কক্ষে গোপন ক্যামেরা...
ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দিল্লির শকরপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক যুবতী। যে অ্যাপার্টমেন্টে তিনি থাকতেন, তার উপর তলায় বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও ছেলে থাকতেন। তাদের ভালো ব্যবহার, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে ভরসা করেই ওই যুবতী বাড়ি যাওয়ার সময় চাবি দিয়ে গিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ থেকে ফেরার পরই ওই যুবতী হঠাৎ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও, তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক গতিবিধি হতেই ‘লিঙ্কড ডিভাইস’ চেক করেন। সেখানে দেখেন- একটি অজানা ল্যাপটপের সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ লিংক দেখাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ল্যাপটপ থেকে লগ আউট করে দেন। এ ঘটনার পরই তার সন্দেহ হয় যে, কেউ নজর রাখছে। এরপর বাড়ি তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর নজরে আসে, বাথরুমে লাগানো লাইট বাল্বটি একটু বাঁকা দেখাচ্ছে। খুলতেই দেখেন, ভেতরে ক্যামেরা। এক মুহূর্তও নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করেন যুবতী। পরে পুলিশ এসে ফের তল্লাশি চালায়।
এবার যুবতীর বেডরুমের লাইট বাল্ব হোল্ডারের ভেতর থেকেও ক্যামেরা বের হয়। পুলিশ ওই যুবতীকে প্রশ্ন করে- তার অ্যাপার্টমেন্টে কাদের যাতায়াত ছিল। ভুক্তভোগী যুবতী জানান, প্রায় সময়ই তিনি বাড়ির মালিকের ঘরে চাবি দিয়ে যেতেন। এরপরই পুলিশ বাড়ির মালিকের ছেলেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, তিন মাস আগে যুবতী যখন বাড়ি গিয়েছিলেন, সেই সময় তার ঘরে ঢুকে বেডরুম ও বাথরুমে ক্যামেরা লাগিয়ে আসে সে। ক্যামেরাগুলোতে মেমোরি কার্ডও ছিল। যখন মেমোরি ফুল হয়ে যেত, তখন বিদ্যুতের কাজের নামে ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে সেই রেকর্ডিং নিজের ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে, ফাঁকা চিপ লাগিয়ে আসতো। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। এই ল্যাপটপের মধ্যে যুবতীর একাধিক নগ্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments