ওষুধ কিনতে গড়িমসি: সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজন সমন্বিত অ্যাকশন by শুভ্র দেব

মহামারি রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু রোগ। নিহতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ঠাঁই নেই হাসপাতালে। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছেছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। অথচ ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক এডিস মশা নিধনে কার্যত কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না সরকারি সংস্থাগুলো। সভা, মিটিং ও বৈঠকেই সময় পার করছেন তারা। মশা নিধনে দীর্ঘদিন ধরে যে ওষুধ ব্যবহার করে আসছিল দুই সিটি করপোরেশন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে সেই ওষুধ অকার্যকর। হাইকোর্টের নির্দেশে গত এক সপ্তাহ ধরে বিদেশ থেকে নতুন ওষুধ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কিন্তু সেই ওষুধ এসে কবে দেশে পৌঁছাবে এ বিষয়ে সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। নগর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের চরম অবেহলা ও সমন্বয়হীনতায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ছড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে তাদের কাজ করতে পারেনি। অকার্যকর ওষুধ দিয়ে কিছু দৃশ্যমান কাজ তারা করেছে। আর এখন প্রক্রিয়াগত কারণে সহসাই বিদেশ থেকে ওষুধ আনা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য অন্তত ১৫দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করলেও এ রোগের প্রধান বাহক এডিস মশা নিধনের ওষুধ নিয়ে জটিলতা কাটছে না। সিটি কর্পোরেশন সূত্র বলছে, পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পুরাতন ওষুধ দিয়েই মশা নিধনের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বলছে এসব অকার্যকরী ওষুধ ব্যবহার করে কোন ফল আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক নির্দেশে বলেছেন, বিশেষ ব্যবস্থায় দুই সিটি কর্পোরেশনকে দিয়েই মশা নিধনের উন্নত মানের ওষুধ আমদানি করতে হবে। আদালত বলেন, ওষুধ আনতে সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নাই। কারণ সরকার বলেছে ওষুধ সিটি কর্পোরেশনকে আনতে হবে। অতএব সকল দায়দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবেলায় সম্ভব হলে সরকারকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওষুধ আমদানি করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ  দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই সিটি কর্পোরেশন দুটি কোম্পানির মাধ্যমে মশার ওষুধ সরবরাহ করে। উত্তর সিটি কর্পোরেশন নোকন নামের একটি কৃষি ও কীটনাশক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওষুধ কিনে। আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান নারায়নগঞ্জের ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে ওষুধ দেয়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষনা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর‘বি) এসব ওষুধ পরীক্ষা করে বলেছে এসব ওষুধ অকার্যকর। সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) একই কথা বলেছে।  সূত্রমতে, ওষুধ কেনার আগে আইইডিসিআর প্রথমে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয়। এরপর আইসিডিডিআরবি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কীটতত্ত্ব বিভাগের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ কমিটি ওষুধ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়। নতুন কোনো কোম্পানি এই ধাপগুলো পার করে ওষুধ আমদানির সুযোগ পায় না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নতুন ওষুধ আসতে সাত দিন সময় লাগতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি ওষুধ আনতে কোন বাধা থাকবে না। এছাড়া ইতিমধ্যে আমাদের কাছে বিদেশ থেকে বেশ কিছু মশার ওষুধের নমুনা এসেছে। শুক্রবার, শনিবার ও রোববার সরকারি দুটো সংস্থা নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করছে। ফলাফল আসার পরই এগুলো কাজে লাগানো যাবে। তিনি বলেন, এর আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের স্টকে থাকা পুরাতন ওষুধ দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে পরিামান স্টক আছে সেটা দিয়ে আরও ১০/১৫ দিন চালানো যাবে। আর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী তৌফিক এনাম টিপু বলেছেন, মশা নিধনের ওষুধ চায়না থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে আনা হবে। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ওষুধ আনতে ১৪দিন সময় লাগবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, সিটি কর্পোরেশন তাদের মত করে কাজ করবে। এখানে আমাদের বলার কিছু নাই। আমরা বললে কোন কাজ হবে না। তারা যদি নিজেদের কাজ নিজেরা করতে না পারে তবে বলার কিছুই নাই। মশা নিয়ে তাদের পূর্ব প্রস্তুতি আগেও ছিল না এখনও নাই। হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি প্রকট হওয়াতে অভিজ্ঞতার অভাবে তারা পেরে উঠছে না। ভারতে সারা বছরজুড়ে মশা মারে। আর ঢাকায় পরিস্থিতি ভয়ানক হবার পর মশা মারা শুরু করেছে। এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। এমনকি তারা যে ওষুধ ব্যবহার করছে সেটি অকার্যকর হয়ে গেছে। নতুন ওষুধ কবে আসবে সেটি কার্যকরি হবে কিনা এটাও দেখতে হবে। প্রক্রিয়াটি অনেক সময় সাপেক্ষ।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ডেঙ্গু ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এখন আমাদের ব্যক্তিগত সতর্কতাই জরুরি হয়ে গেছে। আমরা নিজেরাই মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য কাজ করব। দিনের বেলা মশারি টানানো, লম্বা জামা কাপড়, মোজা পরতে হবে। বিভিন্ন লোশন আছে সেগুলো হাত পায়ে মাখা যেতে পারে। বাড়ি-ঘরের আনাচে কানাচে, আঙ্গিনায় যেখানে মশা জন্মাতে পারে এসব স্থানে স্প্রে করতে হবে। কোথাও যদি পানি জমে থাকে তবে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। যাতে মশা যেন ডিম পাড়তে না পারে। বসত বাড়ি নিজেরাই পরিষ্কার করতে হবে। 

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যুদ্ধ লাগলে যেমন শুধু নির্দিষ্ট একটি বাহিনী দিয়ে যুদ্ধ হয় না তেমনি এডিস মশার বিরুদ্ধে ওষুধ নিয়ে নামলে হবে না। মশা নিধনের চারটি কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে ওষুধ। যা দিয়ে কখনই মশা নিধন সম্ভব নয়। অথচ সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ওষুধ নিয়ে। তাদের সবচেয়ে বেশি বাজেট ওষুধ ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত থাকে। তাদের চিন্তা চেতনা শুধু মশা মারা নিয়ে। যদি মশা মারলেই সমাধান হত তাহলে বছরের পর বছর ধরে মশাই মারা হচ্ছে তবুও মশা কমছে না। আমরা মশা থেকে রেহাই পাচ্ছি না। বরং ডেঙ্গু, ম্যালেয়িয়া আরও বাড়ছে।

তিনি বলেন, মশার ওষুধ কোন জায়গায় দিতে হবে সেটা তাদের জানা নাই। সিটি কর্পোরেশন রাস্তার ও ড্রেনের মশা মারে। এই মশায় ডেঙ্গু হয় না। রাস্তায় কোনো এডিস মশা থাকে না। কর্পোরেশন ইদুর ও বিড়াল মারা নিয়ে ব্যস্ত অথচ বাঘ এসে ক্ষতি করে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নাই। তারা বলছেন সব শত্রুকে ধ্বংস করে ফেলেছি। বাস্তবে বড় শত্রুকে তারা স্পর্শই করতে পারে নাই। এডিস মশা থাকে মানুষের বাড়ি ঘরের ভেতরে। যেখানে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন যেতে পারে না। তাই তাদের দায়িত্ব হল দুটি এডিস মশা ও ডেঙ্গু থেকে সহনশীল অবস্থার মধ্যে যদি নিয়ে আসতে চায় তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার। এছাড়া যারা ওষুধ ছিটাবে তারা কোথায় ছিটাবে, কখন ছিটাবে, কিভাবে ছিটাবে, কোন ওষুধ কোথায় দিবে এটা যদি তারা না জানে তাহলে হবে না। তারা মশাই চিনে না। তিনি বলেন, ইদুরকে যদি বিড়াল মনে হয় আর বাঘকে যদি বিড়াল মনে হয় তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবেই। তাই সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মশা সম্পর্কে ট্রেনিং নিতে হবে। মশা নিধনের দেওয়ার তাদেরকে নিশ্চিত হতে হবে। আর নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ ও একটা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে তাদেরকে যেতে হবে। বাংলাদেশের কোনো সিটি কর্পোরেশনে এই কাজগুলো করা হয় না। তারা শুধু মশার ওষুধ কেনা নিয়ে ব্যস্ত কারণ এটি করলে প্রচুর দৃশ্যমান কাজ দেখানো যায়।

সিটি কর্পোরেশনের কোথাও কিটতত্ত্ববিদ বলে লোক খোঁজে পাওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন এই নগরবিদ। তিনি বলেন, পদ আছে ৬/৭টি করে। কিন্তু এখানে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না। কয়েকজন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল পরে কয়েকমাস ধরে তাদের বেতন বাকি পড়ায় তারা চলে গেছে। মশার ওষুধ নিয়ে আনা হয় কিন্তু সিটি কর্পোরেশন সেগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজন মনে করছে না। কোন ওষুধ কিভাবে কাজ করবে অঞ্চল ভিত্তিক তার পরীক্ষা তারা করছে না এমনকি ল্যাবে নিয়ে কোন পরীক্ষা করে না যার মাশুল তাদেরকে এখন দিতে হচ্ছে। যার যে কাজ সে সেটা করছে না। চরম সমন্বয়হীনতার মধ্যে দিয়ে চলছে।

নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সময় অনেক পার হয়ে গেছে। যে কাজটি সারা বছর ধরে করার কথা সেটি চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে করে কোনো লাভ নাই। মশানিধন, মশার পরিবেশ নষ্ট এসব কাজের জন্য সিটি কর্পোরেশনের বিভাগ আলাদা করা আছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছেন। তাদের নিয়মিত বাজেট দেয়া হয়। তাদের কর্মকান্ডে নির্ধারিত করা আছে। কিন্তু তারা সেই কাজটি করে না। দায়িত্বপালনে তাদের সাংঘাতিক ধরনের অবহেলা আনাড়িপনা ও উদাসীনতা রয়েছে। তারা তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করে না। তাদের কাজে উৎকন্ঠাও নাই গরজও নাই। হঠাৎ করে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তাদের নিজেদের দায়িত্বের পাশপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা আমাদের নিজেদের বাড়ি ঘর পরিষ্কার করতে পারতাম। কিন্তু সেই পরিবেশও নাই। কারণ আমার বাড়ি পরিষ্কার রেখে কি লাভ। আশেপাশের অবস্থা যদি অপরিষ্কার থাকে। এক্ষেত্রে নাগরিককে সচেতন করার জন্য সিটি কপোরেশনের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব থাকার কথা ছিল। সেটি তারা করেনি। এই মূহুর্তে তারা কোন জায়গা থেকে ভাল ওষুধ আনবে সেটাও তারা জানে না। সবকিছু মিলিয়ে তাদের মধ্যে যে আনাড়িপনা আমরা দেখি সেটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, সবাই শুধু প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে তাকে। তিনি বললে কাজ হবে। কিন্তু একজন মন্ত্রী রয়েছেন তিনি চাইলেই এসব বিষয়ে সমাধান সম্ভব। স্থানীয় সরকার, সিটি কর্পোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামলে হবে। সঙ্গে নাগরিকরা থাকবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যদি তাদের নিজেদের পরিবেশটা ঠিক রাখতে পারে সেটাও কম নয়।

পোকা, বাস্তুসংস্থান ও কিটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ওষুধ কেনার প্রক্রিয়াটা খুব জটিল। সেটা সহজে কেনা যায় না। একটা উইং প্রক্রিয়াটাকে এমন জটিল করে রেখেছে যেটা আমাদের জন্য বাজে পরিস্থিতি হয়ে দাড়িয়েছে। কারো সাধ্য নাই খুব দ্রুত সময়ে ওষুধ কেনার। একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবেই। যেহেতু এই ওষুধ আমাদের দেশে তৈরি হয় না তাই বিদেশ থেকে আনতে গেলে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। তিনি বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বলেছি নতুন ওষুধ আসার আগ পর্যন্ত বসে থাকলে হবে না। পুরাতন ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে হবে। আর ওইটা যদি বন্ধ করে দিয়ে নতুনটার অপেক্ষা করি তাহলে হবে না। বরং ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই পুরাতনটাই সঠিক, মাত্রায় সঠিকভাবে তিন মিনিট পর স্প্রে করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবার পর কেন সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ে কাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মুল সমস্যা এটাই। আমরা বিপদে না পড়লে কোনো কিছু নিয়ে মাথা ঘামাই না। মশা নিধন সারা বছরই করতে হবে এবং ডেঙ্গু সিজন আসার ছয় মাস আগেই একটা পরিকল্পনা রাখতে হবে। কারণ বৃষ্টিপাত শুরু হলেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের দেশে পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। তাই এই সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, মশা নিধনের জন্য কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে। অথচ দেশেই মশা বিশেষজ্ঞ আছে তাদের কথা না শুনেই বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে।  যদি দেশের বিশেষজ্ঞরা ব্যর্থ হয় তাহলেই টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে আনুন।

No comments

Powered by Blogger.