নগ্ন রেস্তোরাঁ দিয়ে শুরু তাদের

বৃটিশ চার নারী। তারা নগ্ন রেস্তোরাঁ থেকে নগ্ন সমুদ্র সৈকতে ঘুরেছেন। তারপর থেকে তাদের আর পোশাক পরতে ভাল লাগে না। পোশাককে তাদের কাছে জঞ্জাল মনে হয়। তারা হলেন মডেল ও উপস্থাপিকা জ্যানিস ব্রায়ান্ট, প্লাস-সাইজ মেন্টর এমিলি ব্লেক, ‘সাপোর্ট’ কর্মী চার্লি স্টিভেনসন ও ‘সাকারস’ কর্মী মারিয়া অ্যান্তোনিয়া স্টাভরো। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, লন্ডনের দ্য সান পত্রিকার বেলা ব্যাটল।
তাকে জ্যানিস ব্রায়ান্ট বলেছেন, তিনি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিজের শরীরকে বেশি ভালবাসেন। জ্যানিস ৫৯ বছর বয়সী বিধবা।
ক্যাম্বসের সেইন্ট ইভসে তার বাড়ি। স্বীকার করেন, তার বয়সী নারীদের জন্য খুব মার্জিত পোশাকের চেয়ে তিনি নগ্নতায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তিনি বলেন,আমি সব সময়ই পোশাকহীন অবস্থায় স্বস্তিবোধ করি। আর এ বিষয়টি আমার মধ্যে এসেছে মার কাছ থেকে। তার এক কাজিন রাস্তায় গর্ভপাত করাতে গিয়ে মারা গেছেন। তখন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাখঢাক করবেন না শারীরিক সম্পর্ক বা নগ্নতার বিষয়ে। জ্যানিস বলেন, তাই মা আমাদের সামনে মাঝে মাঝেই নগ্ন হয়ে চলাফেরা করতেন। তিনিই আমাকে ৫ বছর বয়সে জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে বলেছেন। এর ফলে আমি তখন থেকেই বাড়িতে নগ্ন হয়ে থাকা শুরু করি এবং সেভাবেই ঘোরাফেরা করি। বাগানে টপলেস হয়ে সূর্য্যস্নান করি। আমি নিশ্চিত এখন আমার প্রতিবেশীর সন্তানরা এ ধারণাকে প্রশংসা করবে না।
তিনি বলেন, শারীরিক দিক দিয়ে আমি সুস্থ নেই। হাঁটুতে আছে আর্থাইটিস। বাকি অঙ্গগুলোতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। ফলে শরীরের যে গঠন এখন আছে তা আমি খুব পছন্দ করি। মানুষ আমার পোশাক নিয়ে কি ভাবলো তার কোনো তোয়াক্কাই করি না।
একই ধারণা পোষণ করেন প্লাস-সাইজ মেন্টর ইমিলি ব্লেক। তার বয়স ২৯ বছর। বাড়ি নরউইচে। তিনি বলেন, বাড়িতে আমি নগ্ন হয়ে হাঁটতেই বেশি পছন্দ করি। বিভিন্ন কৌণিক দিক থেকে দেখি আমার শরীরের কার্ভ বা গঠন। টিনেজ বয়সে আমার ক্লাসে সবচেয়ে বড় মেয়েদের অন্যতম ছিলাম। তখন আমার নগ্ন শরীরকে ঘৃণা হতো। সহপাঠীদের সামনে পোশাক পরিবর্তন করতে পারতাম না। আমার আকৃতি এত বিপুল ছিল যে, আমার প্রথম প্রেমিকপুরুষ আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর ২০১৩ সালে আমি প্লাস-সাইজ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। তখনই সব পাল্টে যেতে শুরু করে। ২০১৪ সালে আমি মিস বৃটিশ বিউটি কার্ভ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হই। এরপর ২০১৭/১৮ সালে মিস ইন্টারন্যাশনাল কার্ভ বিজয়ী হই। এসব ঘটনার পর আমার শরীরকে আমি ভালবাসতে শুরু করলাম। এখন আমাকে আমি সবচেয়ে যে বড় উপহারটি দিই তা হলো নগ্নতা। এতে আমার কাজের প্রতি আস্থা সৃষ্টি হয়। আমি এখন মেয়েদের তাদের শরীরের বিভিন্ন গোপন অঙ্গের বিষয়ে শিক্ষা দিই।
সাপোর্ট-কর্মী চার্লি স্টিভেনসন নগ্নতাকে পছন্দ করেন। কারণ পোশাক দিয়ে মানুষ তাকে বিচার করে। ২৭ বছর বয়সী স্টোক-অন-ট্রেন্টের বাসিন্দা চার্লি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক ম্যানেজার মার্ক হোয়াইটফিল্ডের (৪৬) সঙ্গে এনগেজড। চার্লি বলেন, মানুষ যখন পোশাকহীন অবস্থায় থাকে তখন ধনী আর গরিব এক সমান হয়ে যায়।
সারকাস পারফরমার মারিয়া অ্যান্তোনিয়া স্টাভরু নগ্ন হতে পছন্দ করেন। উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ৩০ বছরের এই যুবতী বিয়ে করেছেন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক অ্যাশ এডেলম্যানকে। তিনি বলেন, আমি লন্ডনে নগ্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিল। নগ্ন সমুদ্র সৈকত দেখতে পছন্দ করি।

No comments

Powered by Blogger.