ভারতের জঙ্গিবিমান সংখ্যা পাকিস্তানের পর্যায়ে নামার আশংকা, জাগুয়ারের ইঞ্জিন কেনার পরিকল্পনা বাতিল হতে পারে

চড়া দামের কারণে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) জাগুয়ার ডিপ পেনিট্রেশন স্ট্রাইক এয়ারক্রাফট আপগ্রেড করার জন্য ইঞ্জিন কেনার পরিকল্পনা বাদ দেয়ার কথা ভাবছে। এর বদলে যেসব জাগুয়ার গ্রাউন্ডেড করা হবে সেগুলোর জায়গায় আরো সুখুই সু-৩০ এমকেআই জঙ্গিবিমান কেনার চিন্তাভাবনা চলছে।

প্রতিরক্ষা মহলের উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, ১৯৮০’র দশকের পুরনো টুইন ইঞ্জিন এয়ারক্রাফটগুলোর রোলস-রয়েস আডুর ৮১১ ইঞ্জিনের থ্রাস্ট ১৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এর মানে হলো জাগুয়ার তার পুরো ভার বহন করতে পারছে না।

তাই আইএএফ এসব বিমানের ইঞ্জিন আগ্রেডের পরিকল্পনা করে এবং সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হানিওয়েলের তৈরি এফ-১২৫আইএন ইঞ্জিন নির্বাচন করা হয়। কিন্তু সূত্রগুলো জাগুয়ার আপগ্রেড কর্মসূচিকে আনাড়ি কাজ বলে অভিহিত করে।

একটি সূত্র জানায়, নতুন ইঞ্জিনের জন্য হানিওয়েল ও এইচএএল যে মূল্য দাবি করেছে তা অত্যান্ত চড়া। এমন দুটি আপগ্রেডের মূল্যে আমরা একটি মৌলিক রাফালে পাওয়া যাবে।

আইএএফের হাতে বর্তমানে ছয় স্কোয়াড্রন জাগুয়ার রয়েছে। আসলে আছে পাঁচটি। ছয় নাম্বারটি পূর্ণ স্কোয়াড্রন নয়।

এভিয়নিক্স আপগ্রেডে কাজ হবে না

জাগুয়ারগুলোর ইতোমধ্যে এভিওনিক্স আপগ্রেড করে ডারিন-১ থেকে ডারিন-৩ মানে উন্নীত করা হয়। এই কাজ শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের পর সাত বছর লেগেছে।

একটি সূত্র জানায়, ডারিন-৩ আপগ্রেডের পুরোটাই এভিওনিক্স এবং উন্নত ককপিট সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু সমস্যা ইঞ্জিন নিয়ে। থ্রাস্ট কমে যাওয়ায় শান্তিকালে এই এয়ারক্রাফট সতর্কতার সঙ্গে কম ভার নিয়ে উড়ছে।

সূত্রগুলো জানায় যে একসময় বিমানগুলোর ইঞ্জিনের থ্রাস্ট একটি পর্যায়ের নিচে নেমে এলে এগুলো পুরোপুরি গ্রাউন্ডেড করতে হবে। কারণ তখন পাইলটের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।

আইএএফ পাইলটরা জোক করে বলেন, জাগুয়ারের ইঞ্জিন এমন অবস্থায় পৌছেছে যে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে আরেকটি ইঞ্জিন নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বদলে শ্মশান ঘাঁটের দিকে নিয়ে যায়।

আরো সুখুই

একই ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে বিধায় আরো সুখুই কেনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে একই সূত্র জানায়।

সূত্রটি বলে, যেসব জাগুয়ার গ্রাউন্ডেড হবে তার জায়গায় সুখুই কেনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে একটি সুখুই দুটি জাগুয়ারের সমান কাজ করতে পারে।

সূত্র মতে, ইঞ্জিন সমস্যার কারণে পুরো জাগুয়ার বহর বাতিল করার চাপ ভারত সমলাতে পারবো না। সেটা করলে ভারতের ফাইটার স্কোয়াড্রনের শক্তি পাকিস্তানের পর্যায়ে নেমে যাবে। হাতে থাকা ২৫ স্কোয়াড্রনের কয়েকটি পুরনো মিগ জঙ্গিবিমান দিয়ে গঠিত এটা ভুললে চলবে না।

No comments

Powered by Blogger.