মধুপুরে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার বেগুন উৎপাদন by মো. নজরুল ইসলাম

মধুপুরের পদ্মারবাড়ী  গ্রামের মো. রুহুল আমীন (৩৫)। তিনি এবার কৃড়ালিয়া ইউনিয়নের কদিমহাতীল গামের ২৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বেগুন চাষ করেছেন। তার প্রতি গাছে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। লভ্যাংশের আশায় হাইব্রিড ও নসিমন জাতের বেগুন চাষ করেছেন। তার বেগুন খেতে এবার ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিন সে গড়ে প্রায় ৭০০ কেজি বেগুন বিক্রি করতে পারছেন। বাজারে বর্তমানে ২ হাজার টাকা মণ বেগুন বিক্রি হচ্ছে। ফলে বেগুনে যা ব্যয় করেছেন তার চেয়ে লাভ হচ্ছে বহুগুণ।
শুধু রুহুল আমীন নয়, মধুপুরে এ রকম প্রায় ৪০ জন বেগুন চাষি রয়েছেন। তারাও অনুরূপভাবে ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি বেগুন বিক্রি করে থাকেন। বেগুন চাষিদের হিসাব মতে শুধু মধুপুরেই প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার বেগুন উৎপাদন হচ্ছে। আর মধুপুরের সবজি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশের মাটিতেও। বেগুন বিক্রি করে রুহুল আমীনের মতো অনেক চাষি স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বেগুন খেতে কাজ আশেপাশের অনেক শ্রমিকেরও আত্মকর্মস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। হাইব্রিড ও নসিমন জাতের বেগুন রোপণ করে ৫০-৬০ দিনের মাথায় বেগুন পাওয়া যায়।
বর্তমানে আড়তদাররা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করছেন বিদেশে পাঠানোর জন্য। মো. রুহুল আমীন জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেগুনে লাভ পাওয়া যায় বেশি তাই এ বেগুন চাষ করেছি। বাজার দাম অনুয়ায়ী যা খরচ করেছি তার চেয়ে বেশি উঠে আসছে। তিনি আরও জানান, সামনের রমজানে বেগুনের দাম আরও বাড়বে। বিকল্প পন্থায় আড়তদারদের মাধ্যমে বেগুন বিদেশে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, মধুপুরে এ বছরে অনেক জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। তবে কৃষকরা বেগুনের প্রধান শত্রু পোকা দমনে সেক্স ফেরোমিন ফাঁদ ব্যবহার করলে ভালো হবে।

No comments

Powered by Blogger.