যোগ্য বলেই তারেক রহমানকে নেতা নির্বাচিত করেছি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমান যোগ্য বলেই আমরা তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছি। এ নিয়ে অন্যদের বলার কিছু নেই। গতকাল বুুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতা আমরা নির্বাচিত করেছি। তাতে আপনাদের (প্রধানমন্ত্রী) বলার কিছু নেই। আমাদের পার্টির কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পার্টি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই দায়িত্ব নিবেন। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। তারেক রহমান কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত? যে মামলায় তিনি খালাস পেয়েছিলেন। আর তাকে খালাস দেয়ার অপরাধে সেই বিচারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আর আপনারা সমস্ত সাজাপ্রাপ্তদের নিয়ে মন্ত্রিত্বে বসিয়ে রেখেছেন। বুধবার বিকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বিএনপি এত বড় রাজনৈতিক দল। এত বড় জনপ্রিয় দল, সেই দলে কি এমন একজন নেতা নেই, যে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা করতে হবে? তার এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আলমগীর বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বৃটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী কেন এই ভয়গুলো আমাদের দেখান। এভাবে আপনারা আলোচনা করে তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে পারবেন না। কারণ তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। বৃটিশ সরকার কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিদের ফেরত দেন না যদি তিনি নিজে না আসতে চান। তারেক রহমানের যখন দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছা হবে তখন উনি দেশে ফিরে আসবেন। সেদিন আপনারা দেখবেন- তার জনপ্রিয়তা কত এবং মানুষ তাকে কত ভালোবাসে। সেদিন দেখবেন কোটি কোটি মানুষ তাকে বরণ করার জন্য বিমানবন্দরে যাবে।
সামপ্রতিক সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাজ্য গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মহা বিপদে পড়েছেন, সেখানে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। গোটা বৃটেনে বাংলাদেশের মানুষ তাকে ধিক্কার জানিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রধানমন্ত্রী ধ্বংস করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কি করেছেন। চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির ৬ মাস হলেও একটি রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারেননি এবং পারবেনও না। কারণ মেরুদণ্ডবিহীন এই সরকার মিয়ানমারকে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব বা কথা বলেনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.