ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ প্রধান নৌ প্রকৌশলী আটক

ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এসএম নাজমুল হককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার সেগুন রেস্তরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া যায়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে নাজমুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
দুদক সূত্র জানায়, সৈয়দ শিপিং লাইন নামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফাঁদ পাতে দুদক। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে সেগুন রেস্তরাঁয় আসার কথা বলেন নাজমুল হক। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে ছিল দুদকের দলটি। ঘুষ নেয়ার পরপরই দুদকের দলটি হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নাজমুল হককে। সৈয়দ শিপিং লাইনের জাহাজের রিসিভ নকশা অনুমোদন ও নতুন জাহাজের নামকরণের অনুমোদনের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চান নাজমুল। এর মধ্য থেকে পাঁচ লাখ টাকা আগেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা নিতে গিয়ে দুদকের ফাঁদে পড়লেন তিনি। দুদক সূত্র জানায়, এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।
এর আগে গত বছরের ১৭ই জুলাই একই দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কেএম ফখরুল ইসলামকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। একটি জাহাজের নকশা অনুমোদন করতে মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের কার্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি জামিন নিয়ে মুক্তি পান। তবে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিচারাধীন। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নাজমুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।

No comments

Powered by Blogger.