কিমের কূটনৈতিক মিশন

যে কিম জং উনকে কেন্দ্র করে কোরিয় উপদ্বীপ অঞ্চলে যুুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা মোতায়েন করেছিল যুদ্ধজাহাজ, চারদিকে ছিল রণপ্রস্তুতি, সেই কিম জং উনকেই এখন রাজসিক আপ্যায়ন করা হচ্ছে। তিনি কূটনৈতিক দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার সঙ্গে তলে তলে তার সম্পর্ক গভীর করেছেন। অন্যদিকে সর্বশেষ চীন সফরে এলেন। সেখানে তাকে রাজকীয় অভিষেক জানানো হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং তাকে একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে দেয়া প্রটোকল অনুসরণ করেছেন। সহাস্যে তাদেরকে দেখা গেছে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রও কিম জং উনের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে বৈঠকে বসার কথা বলছে। বলা হচ্ছে, এমন আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন কিম জং উন। ফলে কোরিয় উপদ্বীপ অঞ্চলের উত্তেজনা দৃশ্যত ফিকে হয়ে যাচ্ছে। তবে কিম জং উন চীনে যে ট্রেনে করে সফরে গিয়েছিলেন তার একটি তাৎপর্য আছে। তাকে বহনকারী ট্রেনটি ছিল বুলেটপ্রুফ। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর ভিতরে আছে সব রকমের প্রসাধনী। আছে বিলাসবহুল সব ব্যবস্থা। আছে চাহিবামাত্র এলকোহল। এই ট্রেনটি ২০০০ সালের মে মাসে চীন সফরে ব্যবহার করেছিলেন কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল। তিনি চীনের ওই সময়ের নেতা জিয়াং জেমিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন বেইজিংয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার ২০০৯ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল প্রায় ৯০টি সাজোয়া যান। এ ছাড়া ছিল আলাদা দুটি ট্রেন। একটি ছিল কিম জং ইলকে বহনকারী ট্রেনের সামনে। অন্যটি পিছনে। তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এ ব্যবস্থা। এ কারণে জিম জং ইলকে বহনকারী ট্রেনটির গতি ছিল ধীর, ঘন্টায় প্রায় ৩৭ মাইল। ওই ট্রেনে ২০০১ সালে কিম জয় ইলের সঙ্গে মস্কো সফরে গিয়েছিলেন রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা কন্টান্তিন পুলিকোভস্কি। তিনি দিয়েছেন এমনি অনেক তথ্য। সেই একই সবুজ-হলুদ রঙের ট্রেনে করে তার ছেলে কিম জং উন চীন গেলেন। এটি তিনি দেশের ভিতরে ব্যবহার করে থাকেন।

No comments

Powered by Blogger.