রোজার মাসের আগাম বাজার

সময়ের আবর্তনে ঘুরে অবশেষে আগমন মুসলিম সম্প্রদায়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাসে মহান আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভের আশায় সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। নিজের মনকে পরিষ্কার এবং আশপাশের মানুষকে সাহায্য করার এটি একটি সুন্দর সময় এই রমজান। রোজার এই সময়ে থাকে আরও একটি চমক! আর তা হচ্ছে মুখরোচক সব খাবার। ইফতারের টেবিলে থাকা খাবারে থাকে তাই নানা রকমের ধরন। প্লেটে থাকে ছোলা বুট, খেঁজুর, বেগুনি, আলুরচপ, পেঁয়াজু, বুন্দি, জিলাপি আর শরবত। এর পাশাপাশি থাকে মুড়ি, চিড়া আর নানা ধরনের ফল। রোজার সময়কার এই মুখরোচক খাবার তৈরিতেও লাগে নানা ধরনের উপকরণ। চাল, ডাল, আলু, চিনি, তেল, লবণ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, গুঁড়া মরিচসহ বেসন। এই উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। কখনও আলু দিয়ে ছোলা বুট, বেসনে ডুবিয়ে বেগুনি, আলুরচপ আবার কখনও পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি পেঁয়াজু। ডালের সংমিশ্রণের তৈরি করা হয় নানা ধরনের খাবার। মিষ্টির ক্ষেত্রে চিনি পানি দিয়ে শরবত, বুন্দি আর জিলাপি অন্যতম। তবে ইফতারের এই খাবারে খেজুরের উপস্থিতি আবশ্যক। যেহেতু রোজার এই সময়টাতে থাকে খাবারের লম্বা একটি তালিকা সেই ক্ষেত্রে আগে ভাগেই রোজার বাজারের বিষয়টি থাকে সবার মাঝে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কোথায় কেমন, আর কত সহজে সব পাওয়া যাবে তাই থাকে ক্রেতাদের মনে। এছাড়া পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করে নিলে একদিকে ঝামেলার যেমন অবসান হবে অন্যদিকে খরচ পড়বে অনেক কম। প্রতি বছরেই রোজার এ সময়ে রোজার বাজারদর কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রোজার এই বাজারে দাম বাড়ে প্রতিটি পণ্যের। আমদানিকৃত মোটা রসুন বিক্রি করা হয় প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। আর অন্য দিকে কোয়া রসুন ২৩০ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা। পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রেও সমানভাবে দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। আলুর দাম পড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম পড়ে প্রতি লিটারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। মসুর ডালের দাম পড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা আর ছোলা বুটের দাম পড়ে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। প্রতি কেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা আর মুড়ি ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি চিড়ার দাম পড়বে ৬০ থেকে ৯০ টাকা আর খেজুরের কেজি পড়বে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। খেজুরের মাঝে নানা রকমের ব্র্যান্ড এবং ধরন পাবেন যা থেকে আপনি আপনার মনমতো নির্বাচন করতে পারেন আপনার পছন্দেরটি। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ে খুচরা ৬০ টাকা আর পাইকারি ৫৫ টাকা। বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে বেগুনের দাম এই পুরো রোজা জুড়েই বেশি থাকার সম্ভাবনা আছে।
কোথায় পাবেন : আপনার আশপাশের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে শুরু করে স্বপ্ন, মিনা বাজারসহ আশপাশের দোকানেও পেয়ে যাবেন আপনার এই রোজার সময়কার বাজার।

No comments

Powered by Blogger.