বিধবার জমি দখল: তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

বিধবা নারী আসমা বেগমের জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় নারায়গঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরাফত উল্লাহসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল ইসলাম তাদের জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রত্যার করেন। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন- সিদ্দিরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে বিধবা নারী আসমার বেগমের জমি দখলে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা এবং ওই নারীর স্বজনদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি পুলিশ সুপারের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওই তিন কর্মকর্তাকে আজ প্রত্যার করে নেন জেলা পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, সিদ্দিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার মোহাম্মদ হোসেন আলী সাউদের বিধবা মেয়ে আসমা উত্তরাধিকার সূত্রে ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি পান। তার ওই জমির একাংশ জোর করে দখল করে নেন সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে সাকিব বিন মাহমুদ ও মো. মহসিন এবং নূর মোহাম্মদের ছেলে মনির। এই জমি দখলে সহযোগিতা করে পুলিশের ওই তিন কর্মকর্তা। এমনকি এর প্রতিবাদ করলে বিধবা আসমার ভাই মোহাম্মদ আলী, তার জামাতার কর্মচারী মো. ওমর ফারুক ও ইমরান হোসেনকে মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান ওসি শরাফত উল্লাহ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়। পরে তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জেলা পুলিশ সুপার তা তদন্তে একটি গঠন করেন। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে আজ পুলিশের ওই তিনকর্মকর্তাকে প্রত্যারের ঘোষণা দেন পুলিশ সুপার।

No comments

Powered by Blogger.