সোনারগাঁয়ের দুটি সড়কের একি হাল!

সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে গেল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনাঘাট এলাকার দুটি সড়ক। খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দুটিতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। গত রোববার রাতে বৃষ্টির সময় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রোববার রাতের সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ওই দুটি সড়ক। সড়ক দুটির মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার পূর্ব পাশের সড়কটি। মেঘনা সেতু নির্মিত হওয়ার আগে এ সড়ক দিয়ে ফেরি পার হয়ে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল করত। বর্তমানে এ সড়ক ব্যবহার করে মেঘনা লঞ্চঘাট পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালবাহী ট্রাক ও লরিও চলাচল করে। তা ছাড়া মেঘনা লঞ্চঘাটের পাশে স্থানীয় মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রতাবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টার ফ্লাওয়ার স্কুলসহ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকার চারটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এদিকে মেঘনাঘাট ব্যাপারী মার্কেট থেকে ঝাউচর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এবং সড়কের পাশে নালা না থাকায় পানি সরতে পারছে না। এতে বৃষ্টির সময় সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটুসমান পানি জমে থাকে।
খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়কে পানি জমে থাকায় হেঁটেও মানুষ চলাচল করতে পারে না।গতকাল সোমবার দুপুরে সড়ক দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, খানাখন্দে ভরা সড়ক দুটিতে পানি জমে আছে। বিভিন্ন যানবাহন ধীরগতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কের ওপর বড় বড় গর্ত থাকায় রিকশা চলাচল করতে পারছে না। কাদা মাড়িয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ ও আলী নুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ দুটি সড়ক মেরামত করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে দুই সড়ক দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মহাব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, সড়কগুলো মেরামত না করার কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় শিল্পকারখানার মালবাহী যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা চলাচল করতে পারছেন না। সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল মান্নান বলেন, ‘এ সড়ক দুটি দীর্ঘদিন ধরেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। সড়ক দুটি মেরামত করার জন্য আমি এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রকৌশলীদের লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি।’ এলজিইডির সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী আলী হায়দার খান বলেন, ‘আমরা সড়ক মেরামত করার জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে এলজিইডির সদর দপ্তরে পাঠাব। সেখান থেকে অনুমতি পেলে দরপত্র বাস্তবায়ন করা হবে।’

No comments

Powered by Blogger.