ডেমোক্র্যাটদের পাল্টা আক্রমণ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথিত রুশ সম্পৃক্ততা নিয়ে সমালোচনা করায় ডেমোক্র্যাটদের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ। এবার উল্টো ডেমোক্র্যাট নেতাদের বিরুদ্ধে রুশ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তদন্তের হুমকি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার নিজের পছন্দের যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট নেতাদের ওপর পাল্টা আঘাত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমারের একটি ছবি প্রকাশ করে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘পুতিন ও রাশিয়ার সঙ্গে চাক শুমারের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত শুরু করা উচিত। পুরোই ভণ্ডামি!’
২০০৩ সালে পুতিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ওই ছবি তোলা হয়। পরে আরেকটি টুইটার বার্তায় সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ও রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসির ছবি প্রকাশ করে তা নিয়েও তদন্ত শুরুর হুমকি দেন ট্রাম্প। তবে শুমার বলেছেন, ‘২০০৩ সালে পুতিনের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছিল গণমাধ্যমের সামনে এবং জনসমক্ষে। দায়িত্বের অংশ হিসেবে ওই বৈঠক হয়।’
ফোনে আড়ি পাতেন ওবামা: ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার টুইটার বার্তায় দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে তাঁর ফোনে আড়ি পাতার ব্যবস্থা করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। টুইট করে ট্রাম্প বলেন, ‘ভয়াবহ! মাত্রই জানলাম ওবামা নির্বাচনের আগে ট্রাম্প টাওয়ারে আড়ি পাতার ব্যবস্থা করেছিলেন ওবামা। কিছুই পাওয়া যায়নি!’ তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখপাত্র কেভিন লুইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা বা হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা কখনোই কোনো মার্কিন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতার নির্দেশ দেননি।
আমার ঘটনা আলাদা: পেন্স
এদিকে সরকারি কাজে নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। গেল নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সরকারি কাজে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের অনিয়মের সঙ্গে তাঁর বিষয়টির কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন তিনি। পেন্স দাবি করেন, ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হিসেবে তিনি ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে রাজ্যের আইন পুরোপুরি মেনে চলতেন। কোনো অনিয়ম করেননি।

No comments

Powered by Blogger.