নদীর পাড়ে আনন্দ আয়োজন

চারদিকে উৎসবের আমেজ। কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলায় আর কেউ মজেছেন আড্ডায়। অনেকেই আবার দল বেঁধে ঘুরছেন চারপাশে। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই সবাই ঢুকে গেলেন মিলনায়তনে। পিনপতন নীরবতায় শুরু হলো আয়োজন। কথামালা ও সম্মাননা পর্ব শেষে আবারও আনন্দে মেতে ওঠার পালা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এভাবেই নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) দিবস। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে নগরের বোট ক্লাব মিলনায়তনে বসে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। কর্ণফুলী নদীর পাড়ে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনে মেতে ওঠেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আয়োজনের শুরুতে ছিল কথামালা পর্ব। এ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন কাশেম খান। চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কথামালা পর্বে সাম্মানিক অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এডুকেশন, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন সিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ, সদস্য আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মো. আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, সাফিয়া গাজী রহমান ও ঈসমাইল দোভাষ। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম এ দেশে উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে দিয়েছিল। আর আজকের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই অর্জন পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’
কথামালা পর্ব শেষে শুরু হয় সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন। এ পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক এম নুরুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি প্রকৌশলী রশিদ এ চৌধুরী ও ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষক নাঈম আবদুল্লাহকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য চার িশক্ষার্থীর হাতে ওঠে পুরস্কার ও অভিনন্দনপত্র। আনন্দ আয়োজনের সর্বশেষ পর্বে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্ব শুরু হয় দলীয় সংগীত ‘একটি বাংলাদেশ’ পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর অনিন্দিতা ভট্টাচার্য গেয়ে শোনান ‘ওরে সাম্পানওয়ালা’। ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ গানের সঙ্গে মাইশা ইসলামের নৃত্য পরিবেশনা আনন্দ দেয় সবাইকে। নকশী দাশের কণ্ঠে পরিবেশিত লোকগীতি ও বেনজির বিনতে শওকতের কবিতার আবৃত্তিও ভালো লেগেছে উপস্থিত দর্শকদের। এরপর একে একে কখনো দ্বৈত আবার কখনো একক গান পরিবেশন করে মঞ্চ মাতান আদিবা সাইফ, নওশাদ রহমান, সানজিদ কবির, জাওয়াদ রহমান, নওশাদ রহমান, জয় রাম সেনগুপ্ত, অনির্বাণ দত্ত ও উমায়ের হোসেন। আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে হুমায়রা আফরাইমের পরিবেশিত ভায়োলিনের সুরমূর্ছনা। ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত নাটিকা। ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’ গানের সঙ্গে হাসান সাজিদ ও মাইশা ইসলামের পরিবেশিত দ্বৈত নৃত্য ছিল উপভোগ্য। ‘চলো সবাই জীবনের আহ্বানে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্যের পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এই আনন্দ আয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.