মাংসের দোকান ৬ দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা

গাবতলী পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আজ সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত ছয় দিনের ধর্মঘট ডেকেছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। এই ছয় দিন তারা মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন সমিতির নেতারা। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আট মাস ধরে গাবতলী পশুর হাটে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন হাটের ইজারাদার। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বক্তারা বলেন, সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত একটি গরু আনতে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়।
পরে গাবতলীতে আদায় করা হয় অতিরিক্ত খাজনা। এতেই মাংসের দাম দিনে দিনে বাড়ছে। অথচ চাঁদাবাজি বন্ধ হলে আরও কম টাকায় মাংস বিক্রি করা সম্ভব। জানতে চাইলে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রমাণ নিয়ে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা তদন্ত করেনি ডিএনসিসি। ব্যবসায়ীদের কোনো মতামতও নেওয়া হয়নি। রহস্যজনকভাবে তা স্থগিত আছে। তাই এই ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে সারা দেশে ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাউল ইসলাম ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.