সেই কুমিল্লাই এখন...

কাল আরও একবার ‘ব্যাটসম্যান’ মাশরাফি বিন
মুর্তজাকে দেখল বিপিএল। খুলনা টাইটানস অধিনায়ক
মাহমুদউল্লাহর এক ওভারেই দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক। শামসুল হক
বড় দেরিতে জ্বলে উঠল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এতটাই যে, টানা তিন ম্যাচ জিতে অঙ্কের হিসাবে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনো জিইয়ে রেখেছে। তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাতে খুব আশাবাদী হতে পারছেন না। বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচেই ৮ উইকেটে জয়। মিরপুরে কালও সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখল মাশরাফির দল। খুলনা টাইটানসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট হয়ে গেছে ১১ ম্যাচে ৮। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট বরিশালেরও। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় কুমিল্লার অবস্থান তাদের ঠিক ওপরে।
সবার নিচে এখন বরিশাল। কিন্তু কী রহস্য কুমিল্লার এই হঠাৎ ‘জাদু’র পেছনে? ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা করতেই হেসে উঠলেন মাশরাফি, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারায় ভালো লাগছে। সেরা হওয়া সব সময়ই কঠিন। তবে আপনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেন কি না, সেটাই আসল কথা। আমরা কোথাও ছিলাম না। এই তিনটি ম্যাচে জেতা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’ ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করা এমনিতেও কঠিন ছিল না। কুমিল্লার জন্য সেটা আরও সহজ করে দিয়েছেন মারলন স্যামুয়েলস। প্রথম ওভারেই দলের ১ রানের মাথায় ওপেনার আহমেদ শেহজাদের আউটের পর উইকেটে এসে ফিরেছেন ম্যাচ জিতিয়ে। ৫৭ বলে আট বাউন্ডারিসহ অপরাজিত ৬৯—খুব বেশি মারকাটারি না হলেও পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিং করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানই। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ করে দেন খেলাই। লিটনের ১১ বলে অপরাজিত ২৪, তার আগে অধিনায়ক মাশরাফির ১১ বলে ২০ রানের ইনিংসও ছিল যথেষ্ট বিনোদনদায়ী। পুরো বিপিএলে কালই প্রথম কিছুটা আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে লিটনকে। শফিউল ইসলামের করা ১৬তম ওভারেই মেরেছেন তিন বাউন্ডারি।
পাঁচ বাউন্ডারির বাকি দুটি জুনায়েদ খানের পরের ওভারে। মাশরাফির ইনিংসে কোনো বাউন্ডারি নেই। অবশ্য ২০ রানের মধ্যে ছক্কাই তিনটি থাকলে বাউন্ডারি না থাকারই কথা। খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর এক ওভারেই ছক্কা আছে দুটি। অন্যটি মেরেছেন পেসার বেনি হাওয়েলকে। ম্যাচটা আরেকটু আগে জিততে পারলে নেট রানরেট আরও ভালো হতো কুমিল্লার। তাদের লক্ষ্যও ছিল ১৫-১৬ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করা। পাঁচ নম্বরে নেমে মাশরাফির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সেটাই কারণ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক তাঁর আসল কাজটা করেছেন বল হাতে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৬-৩! সপ্তম ওভারে এসে টানা চার ওভার বোলিং। প্রথম বলেই আবদুল মজিদকে ফেরানোর পর নিয়েছেন হাসানুজ্জামান আর নিকোলাস পুরানের উইকেট দুটিও। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে খুলনার ইনিংসে যা একটু লড়াই দেখা গেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেই। ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে। বিপিএলের অনেক নেতিবাচকতার মধ্যে সৌহার্দ্যের এই খণ্ডচিত্রগুলো মন কাড়ে

No comments

Powered by Blogger.