সুস্থ আছি, ভালো আছি: খাদিজা

খাদিজা বেগম হাসছেন। গতকাল রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের
নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে আনা হয় তাঁকে। প্রথম আলো
দুপুর ১২টা। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিচতলায় অভ্যর্থনাকক্ষের সামনে হুইলচেয়ারে করে আনা হলো সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগমকে। হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়লেন সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে। বললেন, ‘আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি, ভালো আছি। দোয়া করবেন যেন ভালো থাকি, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। মিডিয়ার ভাইদের ধন্যবাদ, আপনারা আমার জন্য অনেক করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ।’ খাদিজার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গতকাল শনিবার স্কয়ার হাসপাতাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন। গত ৩ অক্টোবর ছাত্রলীগের নেতার চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হওয়ার পর গতকালই তিনি প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এলেন। তাঁর বাঁ হাতে ছিল ব্যান্ডেজ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খাদিজা আজ রোববার হাসপাতাল ছাড়বেন।
ছাড়পত্র দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা গতকালই শেষ হওয়ার কথা। এর আগে ১৬ নভেম্বর বিকেলে হুইলচেয়ারে করে বাবার সঙ্গে হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরতে বের হওয়া খাদিজা কথা বলেছিলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনে স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিস) মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজার অবস্থা এখন ভালো। এ কারণে তাঁকে আর এখানে হাসপাতালে রাখার দরকার নেই। তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাঁর বাঁ দিকটা এখনো অবশ। এ কারণে ফিজিওথেরাপি দরকার। খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী খাদিজাকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। সোমবার তাঁকে সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হতে পারে। ছাত্রলীগের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসম্পাদক বদরুল আলম ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করেন। তাঁকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই দিন গভীর রাতে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ওই ঘটনায় শাহ পরান থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বদরুল কারাগারে আছেন।

No comments

Powered by Blogger.