প্রাইমারি নির্বাচনে জিতেই চলেছেন স্যান্ডার্স

বার্নি স্যান্ডার্স।
আয়তনের দিক থেকে ওয়োমিং যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য। তবে জনসংখ্যার দিক দিয়ে এর স্থান সর্বনিম্নে। মাত্র ৬৫ হাজার মানুষের এই রাজ্যে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির ককাসে আবারও জিতেছেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। এ নিয়ে তিনি বাছাই পর্যায়ের গত নয়টি নির্বাচনের আটটিতে জয়ী হলেন। বিজয়ের এই ব্যবধান সামান্য হওয়ায় রাজ্যের ১৪ জন ডেলিগেট দুই ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স ও হিলারি ক্লিনটন সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। মোট ডেলিগেটের হিসাবে হিলারি এখনো ২১৯ ভোটে এগিয়ে। আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিকদের সমর্থনের জোরে তিনি জুলাই মাসে দলের কনভেনশনে তাঁর সম্ভাব্য বিজয়ের সম্ভাবনা ধরে রেখেছেন। তবে শ্বেতকায় ও তরুণদের মধ্যে তাঁর সমর্থনের অভাব দলের নেতৃত্বে উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। সুপার ডেলিগেটদের সিংহভাগ তাঁকেই সমর্থন করছে। এ কথা মাথায় রেখে স্যান্ডার্স দলীয় নেতৃত্বের কাছে বিজয়ের ঢেউ তাঁর দিকে নেওয়ার আবেদন করেছেন। তিনিই একমাত্র ডেমোক্রেটিক প্রার্থী, যিনি অনায়াসে যেকোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে পরাস্ত করতে সক্ষম। অতএব সুপার ডেলিগেটদের উচিত হবে তাঁকেই সমর্থন জানানো। হিলারি ক্লিনটন অবশ্য আশা করছেন, ১৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের প্রাইমারি নির্বাচনে ভালোভাবে বিজয় অর্জন করে স্যান্ডার্সের বিজয়রথ থামিয়ে দেবেন। নগর-প্রধান পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্যে এর পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও হিলারি চমৎকার কিছু আশা করছেন। স্যান্ডার্স অবশ্য বিনা যুদ্ধে নিউইয়র্ক বা পেনসিলভানিয়ার সূচ্যগ্র ছাড়তেও রাজি নন। গতকাল শনিবার নিউইয়র্কের কুইন্সে এক অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার উল্লাসমুখর সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এইমাত্র খবর পেলাম, আমরা ওয়োমিংয়ে ককাসে জিতেছি।’ তাঁর সে কথা শোনামাত্র সারা হলঘর উল্লাসে ফেটে পড়ে। স্যান্ডার্স তাঁদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, ওয়োমিংয়ে যত লোক আছে, তার চেয়ে বেশি লোক আছে এই হলঘরে।’ তিনি দর্শকদের ফের মনে করিয়ে দেন, এই শহরের ব্রুকলিনে তাঁর জন্ম, নিউইয়র্কে তিনিই জয়ী হবেন।

No comments

Powered by Blogger.