অফশোর ট্রাস্ট রক্ষার চেষ্টা করেন ক্যামেরন

ডেভিড ক্যামেরন
কর ফাঁকির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমন্বিত পদক্ষেপ থেকে অফশোর ট্রাস্ট রক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ওই চেষ্টার অংশ হিসেবে সে বছর ক্যামেরন ইউরোপীয় কাউন্সিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রমপুয়েকে লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন, অফশোর ট্রাস্টগুলোকে সব সময় কোম্পানির স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের আওতায় আনা উচিত নয়। অফশোর ট্রাস্টের প্রকৃত মালিকদের সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশের মাধ্যমে ওই সব ট্রাস্টের লেনদেন প্রকাশ্যে আনার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিল ইইউ। এর পরপরই ওই চিঠি লেখেন ক্যামেরন। লন্ডনের প্রভাবশালী ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা গতকাল বৃহস্পতিবার চিঠিটি ফাঁস করে। চিঠিতে ক্যামেরন আরও লিখেছিলেন, ‘কোম্পানি ও ট্রাস্টের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, তাকে আমাদের স্পষ্টভাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। কোম্পানিগুলোর সম্ভাব্য অপব্যবহার রুখতে নেওয়া পদক্ষেপ সাধারণভাবে সবার জন্য যথাযথ না-ও হতে পারে।’ ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসের নথি অনুযায়ী ডেভিড ক্যামেরনের বাবা ইয়ান ক্যামেরন অফশোর ট্রাস্ট ‘ব্লেয়ারমোর হোল্ডিংস ইনকরপোরেট’-এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ জমা রেখেছিলেন। ট্রাস্টটির সঙ্গে নিজ পরিবারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন। ২০১৩ সালে জি-৮ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে কর ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিকে নিজ দেশের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। অথচ ওই বছরই তিনি ইইউর পদক্ষেপ থেকে অফশোর ট্রাস্টগুলোকে রক্ষায় উদ্যোগ নেন। নিজ দেশের করসংক্রান্ত আইনকানুন থেকে রেহাই পেতে শিথিল আইনের বিশেষ কিছু অঞ্চলে অর্থ সঞ্চয় করে রাখার অন্যতম পন্থা হলো এসব অফশোর ট্রাস্ট।

No comments

Powered by Blogger.